বিএনপি বর্তমানে একটি ক্রান্তিকালীন সময় অতিক্রম করছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের পরও কিছু বিএনপি মাঝে কিছু স্বার্থান্বেষী, দুষ্কৃতকারীর কারণে এবং সর্বোপরি বিএনপির নামে অপপ্রচারের কারণে বিএনপির ইমেজ সংকটে দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ত্রয়োদশ
জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী ভুল হলে সেটি দলের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ আসনের একজন বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ডিসি ও সাবেক সচিব মো. আব্দুল বারী। তবে তিনি ডিসি আব্দুল বারী নামে এলাকায় পরিচিত। জয়পুরহাট-২ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. আব্দুল বারী"কে কেন এলাকার ভোটাররা প্রার্থী করার সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত.....?
সৎ ও নির্লোভতার ইমেজ:-
ডিসি মো. আব্দুল বারী সৎ ও নির্ভরত ইমেজেই দীর্ঘ দিন সরকারি চাকরি জীবনে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন। চাকরি থাকা অবস্থায় তিনি কখনো দুর্নীতি করেননি এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবনে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। জনগণ তাঁকে একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা:-
তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে। ফলে দেশ-বিদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও নীতি বাস্তবায়নে তিনি পারদর্শী।
তৃণমূলের সাথে গভীর সংযোগ:-
ডিসি মো. আব্দুল বারী জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের শগনা গ্রামে শিকড় গাঁথা একজন মানুষ হিসেবে তিনি স্থানীয় জনগণের সুখ-দুঃখে সবসময় পাশে থেকেছেন। গ্রামীণ অর্থনীতি, কৃষক, দিনমজুর, শ্রমজীবী মানুষের সমস্যা সম্পর্কে তাঁর সরাসরি অভিজ্ঞতা ও সম্পর্ক সম্পর্ক রয়েছে।
সাংগঠনিক গ্রহণযোগ্যতা:-
দীর্ঘদিন বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক জীবন এবং পরবর্তী সময়ে দলে সক্রিয় অংশগ্রহণ তাঁকে ভিন্ন মাত্রায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
উন্নয়নমুখী ভিশন:-
তিনি বিশ্বাস করেন স্থানীয় উন্নয়নই জাতীয় উন্নয়নের ভিত্তি। শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিল্পায়ন, অবকাঠামো ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে তাঁর সুস্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।
ইমেজ সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা:-
বিএনপি যখন ইমেজ সংকটে ভুগছে, তখন ক্লিন ইমেজ ও অভিজ্ঞ প্রার্থীই পারে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ডিসি আব্দুল বারী সেই আস্থার প্রতীক।
শিক্ষিত ও আলোকিত প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যতা:-
ডিসি মো. আব্দুল বারী শিক্ষা, যোগ্যতা, ভদ্রতা ও দেশপ্রেম নতুন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে আকর্ষণীয়। তরুণ সমাজ পরিবর্তনের যে নেতৃত্ব খুঁজছে, তিনি সেই প্রত্যাশার সাথে মেলেন।
ত্যাগ ও নিপীড়নের ইতিহাস:-
তিনি রাজনৈতিক জীবনে বারবার হয়রানি, মিথ্যা মামলা, পেনশন বন্ধ, প্রবাসে পড়াশোনায় বাধা-এসব সহ্য করেও তিনি আদর্শ ও সততা থেকে বিচ্যুত হননি। এ ধরনের ত্যাগী নেতৃত্বই জনগণের সত্যিকারের আস্থা পায়।
সর্বস্তরের মানুষের সাথে সেতুবন্ধন:-
ডিসি বারী কেবল দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, সাধারণ ভোটার, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, কৃষক ও ব্যবসায়ী সকলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা শুধু দলীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি সারা দেশে দলের জন্য বিরাজমান।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে:- জয়পুরহাট-২ আসনে এমন প্রার্থী প্রয়োজন, যিনি সৎ, অভিজ্ঞ, শিক্ষিত, গ্রহণযোগ্য এবং উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন। এ সকল দিক বিবেচনায় ডিসি মো.আব্দুল বারী এই আসনে বিএনপির সবচেয়ে যোগ্য ও সেরা প্রার্থী বলে স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন।