আগামী বছরের মাধ্যমিকের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। ফলে আগামী বছরেও শিক্ষার্থীদের হাতে দেরিতে বই পৌঁছানো শঙ্কা রয়েছে। চলতি মাসে প্রাথমিকের বই ছাপা শুরু করা গেলেও মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে এখনো জটিলতা কাটেনি। ইতিমধ্যে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো শেষ হয়নি অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের দরপত্র মূল্যায়ন। প্রাথমিকের পাঠ্যবই যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হলেও মাধ্যমিকের পাঠ্যবই ছাপার কাজ দেরিতে শুরু হচ্ছে। ফলে আগামী জানুয়ারির প্রথম দিন মাধ্যমিকের সব বই শিক্ষার্থীরাহাতে পাবে না। তবে মুদ্রণ মালিকরা আন্তরিক হলে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই জানুয়ারির প্রথম দিকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করা সম্ভব হতে পারে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং মুদ্রণশারীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইতিমধ্যে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আর নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের দরপত্র মূল্যায়ন কাজ চলমান। তবে প্রি-প্রাইমারি চুক্তি হয়ে গেছে। আর প্রায় শেষ পর্যায়েপ্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপার চুক্তি। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির নোয়া (নোটিশ অব অ্যাওয়্যার্ড) দেয়া হয়েছে। নোয়া দেয়ার পর ২৮ দিনের মধ্যে চুক্তি করার সময় পাবে। তার আগেই চুক্তি হয়ে যাবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠ্যবই ছাপার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে এনসিটিবি। যাতে জানুয়ারির ১ তারিখে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো যায়।
সূত্র জানায়, প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছোট, কম সময়েই ছাপা হয়ে যাবে। যে প্রেস মালিকরা প্রাথমিকের বই ছাপবেন, তারা মাধ্যমিকের বইও ছাপবেন। পাঠ্যবই ছাপার কাজ যদি পুঞ্জিভূত না হয়, ধারাবাহিকতা ঠিক থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। বিগত সময়ের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সঠিক সময়ে পাঠ্যবই ছাপা ও সরবরাহ এখনো সম্ভব।তবে ছাপার কাজ শেষের দিকের জন্য জমিয়ে রাখলে সমস্যা হবে না। সেক্ষেত্রে মুদ্রণ মালিকদের আন্তরিকতা জরুরি। সেক্ষেত্রে এনসিটিবির যথাযথ তদারকি প্রয়োজন। কারণ পাঠ্যবই শেষ সময়ে ছাপতে গিয়ে তাড়াহুড়োর কারণে তদারকি করা সম্ভব হয় না। তখন নিম্নমানের কাজ দিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান বেশি লাভ করতে চায়। ওই কারণেই অনেকে ছাপার কাজ জমিয়ে রাখে।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল কবীর চেনধুরী জানান, পাঠ্যবই যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। মুদ্রণ শিল্প মালিকরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে বছরের শুরুতেই সব পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
UPEED