বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রাণপুরুষ নোমান বাবু

এফএনএস ( মো: রাজিবুল ইসলাম রক্তিম; বগুড়া) : | প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রাণপুরুষ নোমান বাবু

বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নে ছাত্ররাজনীতির নতুন জাগরণ শুরু হয়েছে। আর এই জাগরণের নেতৃত্বে রয়েছেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক নোমান বাবু। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, দৃঢ় মনোবল, মেধাবী চিন্তাধারা এবং অদম্য নেতৃত্বগুণ আজ ছাত্রসমাজকে নতুন করে উজ্জীবিত করেছে। নোমান বাবুর হাত ধরে বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন ছাত্রদল আবারও সংগঠিত হচ্ছে। তিনি শুধু রাজনীতির মঞ্চেই নয়, সামাজিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তরুণদের পাশে দাঁড়িয়ে এক ভিন্ন ধারা তৈরি করেছেন।

ছাত্ররাজনীতি সব সময়ই ছিল তরুণ প্রজন্মের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম। নোমান বাবু ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি অনুরাগী ছিলেন। শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই তিনি ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ধীরে ধীরে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, ত্যাগ ও নিষ্ঠার কারণে নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করেন। বর্তমানে ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি দলের জন্য কাজ করছেন নিরলসভাবে। তিনি বিশ্বাস করেন, ছাত্ররাজনীতি মানে শুধু দলীয় রাজনীতি নয়, বরং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, একটি সচেতন সমাজ গড়ে তোলা এবং তরুণদের ইতিবাচক পথে পরিচালিত করা। নোমান বাবুর সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তরুণদের আস্থা। এলাকার সাধারণ ছাত্র থেকে শুরু করে মেধাবী তরুণরা তাঁর নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। তিনি সর্বদা চেষ্টা করেন, যেন তরুণ প্রজন্ম শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়। তরুণদের মধ্যে মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে নোমান বাবু বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি মনে করেন, মাদকই তরুণদের ধ্বংসের মূল কারণ। তাই তিনি নিয়মিত সচেতনতামূলক সভা, খেলাধুলার আয়োজন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণদের সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

রাজনীতির বাইরে নোমান বাবু সমাজের নানা উন্নয়নমূলক কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন তিনি। করোনা মহামারির সময় যখন অনেকেই ঘরবন্দি ছিলেন, তখন নোমান বাবু ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন। তাঁর এই মানবিক কর্মকাণ্ড এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে।

একটি সংগঠন চালাতে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন শৃঙ্খলা ও ঐক্য। নোমান বাবু এ বিষয়টি খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করেন। তাঁর নেতৃত্বে বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন ছাত্রদল নতুন করে সংগঠিত হয়েছে। তিনি সবসময় চেষ্টা করেন, যেন দলের প্রতিটি নেতাকর্মী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে। দলীয় ঐক্য বজায় রাখতে তিনি সর্বদা সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেন। ফলে দলের ভেতরে বিভক্তির পরিবর্তে এখন এক ধরণের ঐক্যের স্রোত বইছে। শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে নোমান বাবু বিশেষভাবে কাজ করছেন। তিনি প্রায়ই বলেন, একটি শিক্ষিত প্রজন্মই দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিতে পারে।

তাই তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহ দেন। পাশাপাশি খেলাধুলার প্রসারে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে তরুণদের উৎসাহিত করেন। তাঁর বিশ্বাস, খেলাধুলা তরুণদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পাশাপাশি মাদক থেকে দূরে রাখে।

স্থানীয়ভাবে নোমান বাবুর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তাঁর ভদ্র ব্যবহার, মিশুক স্বভাব এবং আন্তরিকতা তাঁকে সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা তাঁর নেতৃত্বে সন্তুষ্ট। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, নোমান বাবু শুধু একজন ছাত্রনেতা নন, তিনি আমাদের এলাকার সন্তান। তিনি সবসময় মানুষের ভালোবাসা নিয়ে কাজ করেন। তাই আমরা চাই, তিনি আরও এগিয়ে যান।

নোমান বাবু সবসময় ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করেন। তাঁর লক্ষ্য হলো একটি শক্তিশালী, শিক্ষিত এবং সচেতন তরুণ প্রজন্ম তৈরি করা। তিনি চান, বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন ছাত্রদল হোক সংগঠনের আদর্শ ইউনিট, যেখানে প্রতিটি ছাত্র নিজের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবে। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রদল হবে শিক্ষিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ একটি সংগঠন। আমরা কখনোই সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্ররা যদি শিক্ষিত হয় এবং সঠিক পথে এগোয়, তবে দেশ ও জাতি এগিয়ে যাবে। বর্তমান সময়ে যখন অনেক তরুণ হতাশায় ডুবে যাচ্ছে, তখন নোমান বাবুর মতো নেতার প্রয়োজন সমাজে আরও বেশি। তিনি প্রমাণ করেছেন, সত্যিকারের নেতৃত্ব মানে মানুষের জন্য কাজ করা, তরুণদের সচেতন করা এবং একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন ছাত্রদল আজ নোমান বাবুর নেতৃত্বে নতুন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী বিশ্বাস করে, তাঁর নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে একটি শক্তিশালী ছাত্রসমাজ, যারা আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দেবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে