স্কলার্সহোমের ছাত্র আজমান আহমেদ দানিয়ালের মৃত্যুকে আত্মহত্যা নয়, বরং ‘আত্মহত্যায় প্ররোচিত’ ঘটনা দাবি করে উত্তাল হয়ে উঠেছে শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাস। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সেখানে জড়ো হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বিভিন্নভাবে অপমান ও হেনস্তার শিকার হয়ে আজমান চরম মানসিক চাপে পড়েছিল। এছাড়া প্রতিবাদরত শিক্ষার্থীদের ওপর হুমকির অভিযোগও উঠেছে।
আজমানের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে-দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, ভিপি আশরাফ হোসেন চৌধুরীর পদত্যাগ, শ্রেণি শিক্ষক শামিম হোসেন ও সিনিয়র শিক্ষক মিস তাইবার অপসারণ, শিক্ষার্থীদের হেনস্তা বন্ধ করা এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সহায়তা করা। একই সঙ্গে কলেজের নোটিশ বোর্ডে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ, পরীক্ষার রুটিন তৈরিতে শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ, শিক্ষকের ব্যক্তিগত আক্রোশ বন্ধ ও ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচনের দাবিও জানানো হয়েছে।
শনিবারের মতো অবস্থান কর্মসূচি শেষ করলেও শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামীকাল আবারও ক্যাম্পাসে আসবেন তারা। আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “শোক প্রকাশের আড়ালে প্রতিবাদ দমাতে দেওয়া যাবে না। আমরা আজমানের ন্যায়বিচার চাই।”