মৃগী নদীর ভাঙনে অর্ধশত বাড়িঘর নদীগর্ভে যাওয়ার আশঙ্কা

এফএনএস (শাকিল আহমেদ শাহরিয়ার; শেরপুর) : | প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
মৃগী নদীর ভাঙনে অর্ধশত বাড়িঘর নদীগর্ভে যাওয়ার আশঙ্কা

মৃগী নদীর ভাঙনে শেরপুর পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডের অর্ধশত বাড়িঘর নদীগর্ভে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষজন। ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তারা মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছেন।

 জানা গেছে, খরস্রোতা পাহাড়ি মৃগী নদীটি শেরপুর পৌরসভার সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়েছে। নদীর এক প্রান্তে পৌরসভার ৪ নম্বর ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সড়কের পাশে শতাধিক বাড়িঘর, কবরস্থান ও মসজিদ রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও মৃগী নদীর পানির তোড়ে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কসবা কাঠগর নামাপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর এবং গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শেরী ব্রিজ মোড় থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কসবা কাঠগর নামাপাড়া পুরাতন মসজিদ মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির মাঝখানের অংশ ইতোমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে। যেকোনো সময় ওই সড়কের বাকি অংশও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে আশপাশের আরও কয়েকটি বাড়িঘর, একটি কবরস্থান ও একটি মসজিদও ভাঙনের মুখে রয়েছে।

কাঠগর নামাপাড়া এলাকার ভুক্তভোগী মাসুদ মিয়া বলেন, “প্রতিবছরই এই নদীর ভাঙন হচ্ছে। ৭ দিন আগে আমার রান্নাঘরটি নদীগর্ভে চলে গেছে, এখন থাকার ঘরটিও হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিবছর আমরা ভাঙন ঠেকাতে পৌরসভা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করেও কোনো সমাধান পাচ্ছি না।”

একই এলাকার জামাল মিয়া বলেন, “বর্ষার সময়, বিশেষ করে নদী ভাঙনের সময়, পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসে আশ্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু বর্ষা চলে গেলেই ওই আশ্বাসের কথা ভুলে যায় তারা। ফলে আমাদের ভোগান্তি কমছে না। বর্ষার সময় নদীতে ঢলের পানি নেমে গিয়ে যখন পানি কমে যায়, তখন ভাঙনের কবলে পড়ে আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ ও গাছপালা।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিমুজ্জামান বলেন, “নদী ভাঙনের বিষয়টি শুনেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে