জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে আন্তস্কুল ফুটবল খেলায় ট্রাইবেকারকের সময় দুই দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে ক্ষেতলাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ৫২তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলা-২০২৫। উপজেলা পর্যায়ের ফুটবল (বালক) প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় ক্ষেতলাল উপজেলার সরকারী পাইলট খেলা চলছিলো। খেলায় বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয় ও পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিযোগীতায় নামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলায় নির্ধারিত সময় শেষে গোল সমতা থাকায় টাইব্রেকারের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন কমিটি। এসময় বড়তারা গোলে এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের উপর আক্রমণ করে। এতে বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪জন খেলোয়াড় আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের আহত ৪জন শিক্ষার্থীরা হলেন, দশম শ্রেণির ছাত্র আইয়ুব হোসেন ও দিগন্ত সরকার এবং অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সিজান ও রুদ্র চন্দ্র। খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের দল খেলা বর্জন করে মাঠ ত্যাগ করে।
বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাংবাদিক আমানুল্লাহ বলেন, এ ঘটনা আজকে নতুন নয়! এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী আয়োজন কমিটি ও পাইলট স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা! ছাত্ররা অন্যায় করলেও তারা ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্রদেরই পক্ষ নেয়।
পাইলট স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকরা জোড় করে জয়ী হওয়ার মানসিকতা থেকে বের হতে না পারলে ভবিষ্যতে আর বাহিরের স্কুল এসব খেলায় অংশগ্রহণের উৎসাহ হারাবে। সামনের বছর থেকে এসব খেলাকে ক্ষেতলালমুখী না রেখে প্রতিটি ইউনিয়নের হাইস্কুল মাঠগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
এবিষয়ে বড়তারা হাইস্কুলের শারীরিক শিক্ষক পরিমল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, খেলা কমিটির অব্যবস্থাপনার কারনে পাইলট স্কুলের ছাত্ররা প্রতি বছর এমন ঘটনা ঘটনোর সাহস পায়। এদের কারনে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা আন্ত খেলায় অংশগ্রহণ করতে চায়না। এঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানায়, ফুটবল খেলা নিয়ে দুই দলের মধ্য উত্তেজনা তৈরি হলে হাতাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত বলেন, ঘটনাটি জেনেছি কমিটি ও উভয় দলের প্রতিনিধিকে ডেকেছি। তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।