নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে বিএনপি ও এনসিপি নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হেনস্থার ঘটনায় দলের ভবিষ্যৎ ‘আরও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বেসরকারি মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের ১৪তম ব্যাচের ইন্টার্ন সমাপ্তি ও এমবিবিএস সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে এখন তো এ সমস্ত কাজ ছাড়া আর কি করার আছে। এর বাইরে তো আর কিছু করার নেই। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। দেশ ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে যেগুলো করছে, এগুলো তো আরও ধ্বংসাত্মক। এগুলো তাদের ভবিষ্যতকে আরো অনিশ্চিত করে দিচ্ছে।”
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও একই ফ্লাইটে উপস্থিত ছিলেন।
মুহম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে নিরাপত্তা সংবলিত আলাদা গেইট দিয়ে বের হন। তবে তার সফরসঙ্গী বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতারা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বের হওয়ার সময় বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালে আওয়ামী লীগকর্মীদের বিক্ষোভের মুখোমুখি হন। তারা ইউনূসকে ‘জামায়াত-শিবিরের নেতা’ আখ্যা দিয়ে নানা ধরনের স্লোগান দেন।
মির্জা ফখরুল ও হুমায়ূন কবির হেঁটে পার্কিং স্পটের দিকে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ‘বাংলাদেশের দুশমন’ আখ্যা, ‘হত্যা’, ‘বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ’ এবং ‘লুটতরাজের জন্য দায়ী’ স্লোগান সহ্য করতে হয়। এনসিপির আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা তাদের অনুসরণ করছিলেন। এই সময় কয়েক দফা তাদের থামিয়ে ডিম ছোড়া হয়, যার ফলে আখতার হোসেনের পিঠে কয়েকটি ডিম ফেটে যায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু জানান, “দূতাবাসের বিষয় নয়। নিরাপত্তা তো ওই দেশের বিষয়। গণতান্ত্রিক দেশে অনেক কিছু ঘটতে পারে। যার সমর্থন আছে বা নেই, সবাই কিছু করতে পারে। এই ঘটনায় আমার জন্য কিছু আসে যায় না।”
এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমসহ অন্যান্য পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।