ময়মনসিংহ জেলা পরিষদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের 'জনস্বাস্থ্য' উপখাতে ৪৭টি প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এক ব্যক্তির নামে একাধিক প্রকল্প, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান, আবেদন না করেও অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম বরাদ্দের তালিকায় থাকাসহ ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের ঐচ্ছিক কার্যাবলীর আওয়তায় নেয়া প্রকল্পে অনিয়মের এমন অভিযোগে তদন্তে অভিযান পরিচালনা করছে দুদক।
জানাযায়, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের 'জনস্বাস্থ্য উপখাতে ৪৭টি প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নেই নেয়া হয় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি প্রকল্প। বুধবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন নথি সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই এবং পরে নথিপত্র নিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে যান তদন্ত দল। জানা গেছে, ওই প্রকল্পে ময়মনসিংহ সদরের ভাবখালি ইউনিয়নে এক ব্যক্তির নামে একাধিক, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান ও আবেদন না করেও অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে বরাদ্দের তালিকায়। পারিবারিক কবরস্থানকে সামাজিক দেখিয়েও নেয়া হয়েছে বরাদ্দ।
ময়মনসিংহ দূর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বলেন, জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টকা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তদন্তে সত্যতা পাওয়াগেলে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুদকের অভিযান চলাকালে ময়মনসিংহ জেলাপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হেসেন সরদারকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তিনি দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়।