সিরাজগঞ্জের কর্ণঘোষ গ্রামের আদিবাসী সমপ্রদায়ের বিধবা বাসন্তী রানীর ভিটে মাটি থাকতেও তিনি আজ ভিটে মাটি ছাড়া। সরেজমিনে গিয়ে ও তথ্য সূত্রে জানা যায়, কর্ণঘোষ মৌজার ১৩২ নং খতিয়ানের ৬৭৩ ৬৮০,৬৮১ নং দাগের ২৮ শতক জায়গা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন বাসন্তী রানী। যা অনলাইনের মাধ্যমে হাল সনের খাজনা পরিশোধ করা হয়েছে। কর্ণঘোষ গ্রামের বাশি রায়ের একমাত্র মেয়ে বাসন্তী রানী। স্বামী বলাই রায়ের সংসারে পৈতৃক ভিটায় বসবাস করা অবস্থায় স্বামী মারা যায়। মূলত ভখনি জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ দুঃখ। একই গ্রামের বিত্তশালী নিয়ামত আলী সরকার অবৈধভাবে উক্ত জায়গা থেকে তাকে উচ্ছেদ করেন। যার ফলশ্রুতিতে তার আশ্রয় হয় অন্যের বাড়ি। জীবন চালাতে মানুষের দারে দারে ঘুরে ভিক্ষা করেন। মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী হয়ে জীবন চলে। এ অবস্থায় সমাজের চেয়ারম্যান মাতবরেরা সামাজিক ভাবে একাধিক বার মিমাংসার চেষ্টা করেন। কাগজ পত্র দেখানোর কথা বলে কালক্ষেপণ করেন নিয়ামত আলী সরকারের ছেলে মালেক ও আশরাফ আলী সরকার। বিধবা বাসন্তী রানীকে বার বার জিজ্ঞাসা করলে বলেন, বাবার জমি আমাকে ফেরত দেন। আশরাফ আলী এ বিষয়ে বলেন, আমাদের সময় দেন কাগজপত্র দেখাবো।