২৮ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরে জেলা টাস্কফোর্সের সভা

ইলিশের নিষেধাজ্ঞা শুরু ৪ অক্টোবর

এফএনএস (মিজানুর রহমান; চাঁদপুর) : | প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ইলিশের নিষেধাজ্ঞা শুরু ৪ অক্টোবর

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ, ক্রয় ও বিক্রয় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় মা ইলিশ ডিম ছাড়ে এবং দেশের নদ-নদী ও সাগরে ইলিশের প্রজনন ঘটে সবচেয়ে বেশি। তাই এই সময়টিকে বলা হয় ‘ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম’।

 ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর   পর্যন্ত ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা সহ  সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময় দেশব্যাপী  ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ।তিনি বলেন, এ সময় মা ইলিশ ডিম ছাড়ে এবং দেশের নদ-নদী ও সাগরে ইলিশের প্রজনন ঘটে সবচেয়ে বেশি। তাই এই সময়টিকে বলা হয়‘ ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম’।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান,এ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্সের মিটিং ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ইং তারিখ বিকাল ৩ টার সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। 

এদিকে,চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড়স্টেশন মাছঘাটে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে দেখা যায় - অন্যান্য দিনের চেয়ে সড়কপথে ইলিশের আমদানি কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু ছোট ছোট ইলিশের দাম কিছুটা কম হলেও বড় ইলিশের দাম অপরিবর্তিত। 

 ব্যবসায়ী ও জেলেরা জানান, প্রজনন মৌসুমের কারণে নদীতে ইলিশ মাছ আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে ছোট সাইজের মাছ আসছে বেশি। সমুদ্র থেকে মাছ উঠতে শুরু করেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে আরো মাছ আসবে। তবে বড় সাইজের মাছ একটু পরে আসা শুরু করবে।

ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুমের কারণে নদীতে মাছ আসবে এই আশায় আছেন চাঁদপুর ও শরিয়তপুরের জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

মেঘনা নদীর জেলে চাঁদপুর দক্ষিণ গোবিন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছলু খা বলেন, আমাদের এই নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে খুবই কম। ছোট সাইজের মাছের সিংহভাগের পেটে ডিম রয়েছে।”

চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার জানান, এই বছর ইলিশে আমরা ব্যবসায়ী আড়তদাররা ধরা। মোকামে তিন দিন ধরে ইলিশ মাছের আধিক্য দেখা গেলেও বিগত বছরের চেয়ে নগণ্য। সামনের কয়েকটা দিন ঘাটে ইলিশের আমদানি বাড়বে। সেই আশায় আছেন শ্রমিকসহ ব্যবসায়ীরা।

ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতা পুরাণবাজার দাসপাড়ার ধীরেন বলেন, “এক মাস ধরে বাজার কিংবা জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনে বিক্রি করার মত সার্মথ্য ছিল না। কারণ, জেলেরা যে মাছ ধরত, তার পরিমাণ ছিল খুবই কম। দাম এত বেশি ছিল, যা কিনে বিক্রি করা যেত না। কারণ, বেশি দাম দিয়ে কেউ মাছ কিনতে চায় না। দুই-তিন ধরে একটু মাছ পাওয়া যাচ্ছে মনে হয়। মেজবা মালের আড়ত থেকে ৪০০ টাকা কেজি ধরে এক ঝুড়ি ছোট ইলিশ মাছ কিনেছি। লোহারপুল বাজারে বিক্রি করব। চাঁদপুর মাছঘাটে এখন ছোট ইলিশ ৫/৬ টায় এক কেজি সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ভারতে যদি না যেত আরও কম দাম হত।”