জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আবু সাঈদ হত্যা মামলা: অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ সাক্ষ্যগ্রহণ পরিচালনা করবেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ওইদিন ছয় নম্বর সাক্ষী সিয়াম আহসান আয়ানকে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা জেরা করেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনিই প্রথম এগিয়ে আসেন এবং নিজের সাক্ষ্যে সেই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরে একই দিনে সাত নম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

এর আগে বিভিন্ন দিনে একাধিক সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার লাইব্রেরিয়ান আনুসির রহমানকে জেরা করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর তিনি ও এসআই মো. তরিকুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন। ৭ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম ও এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হক সাক্ষ্য দেন। ২৮ আগস্ট মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে হাজির হন আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন।

এ মামলায় গ্রেপ্তার ছয়জন আসামি হলেন—এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। বাকি ২৪ জন আসামি পলাতক। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত চারজন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হয়ে সওয়াল-জবাব পরিচালনা করছেন।

গত ২৭ আগস্ট চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর আগে ৬ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে ২৪ জুন। মোট ৬২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করার কথা রয়েছে।

টানা কয়েক দফা শুনানি শেষে মামলার কার্যক্রম এগোচ্ছে নিয়মিতভাবে। আদালত সূত্র জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে যত দ্রুত সম্ভব সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।