চাটমোহরে ডাক্তারের পরকীয়া, স্ত্রীকে তালাক

এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) : | প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
চাটমোহরে ডাক্তারের পরকীয়া, স্ত্রীকে তালাক

পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক চিকিৎসক পরকীয়ায় জড়িয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তালাক দিয়েছেন স্ত্রীকে। তার দুই বছরের এক সন্তানও রয়েছে। তালাকের বিষয়ে জানার পর ওই ডাক্তারের স্ত্রী শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্ত্রীর দাবি ও সন্তানের অধিকার আদায়ে স্বামীর বাড়িতে আসেন। কিন্তু স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আশ্রয় নেয় পাশের বাড়িতে। এনিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। 

অভিযুক্ত চিকিৎসক হলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের বোয়াইলমারী গ্রামের বাসিন্দা ও চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মোঃ মোবারক হোসেন। তার স্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচির শাজাহান আলীর মেয়ে স্বর্না খাতুন। তাদের রয়েছে একটি কন্যা সন্তান। 

জানা গেছে,মোবারক হোসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন স্বর্না খাতুনের সাথে। প্রেম থেকে তাদের পরিণয়। প্রায় ৮ বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের রয়েছে একটি কন্যা সন্তান। লেখাপড়া শেষ করে চাকুরির সুবাদে মোবারক হোসেন যোগদান করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এসময় তিনি জড়িয়ে পড়েন মেডিকেলে পড়ুয়া এক মেয়ের সাথে পরকীয়ায়। এমন পর্যায়ে পরকীয়া চলে যায় যে,মোবারক হোসেন হাসপাতালে নাইট ডিউটিতে থাকাকালে তার প্রেমিকা নিয়ে আসতো। বিষয়টি তার স্ত্রী স্বর্না খাতুন জানার পর তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্বর্নাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাবার বাড়ি। গোপনে আদালতে গিয়ে মোবারক তালাক দেন স্বর্নাকে। প্রেমের বিয়ের পরও পরকীয়ায় মোবারক বুদ হয়ে স্ত্রীকে ছাড়েন। এমতাবস্থায় শনিবার স্বর্না খাতুন শিশুকন্যাকে নিয়ে চলে আসেন বোয়াইলমারী গ্রামের স্বামীর ঘরে। কিন্তু তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন মোবারক গং। 

রোববার দুপুরে বোয়াইলমারী গ্রামে গিয়ে কথা হয় স্বর্না খাতুনের সাথে। তিনি স্বামীর পরকীয়ার ঘটনা বিস্তারিত বলেন এবং তাকে অন্যায়ভাবে তালাক দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে তার ও তার সন্তানের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। শুধু তাই নয়,তার সাথে যে আচরণ করা হয়েছে,তার সুষ্ঠু বিচার চান। 

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্নে চিকিৎসক মোঃ মোবারক হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে