বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর কৃষকদল নেতা হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি তুহিন হাওলাদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিত্বে ওইদিন ভোরে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদর কোম্পানী এবং র্যাব-৮’র ভোলা ক্যাম্পের সদস্যরা যৌথ আভিযান চালিয়ে ভোলার দৌলতখান থানার উত্তর জয়নগর এলাকায় আত্মগোপনে থাকা তুহিন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তুহিন বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের করফাকর গ্রামের মৃত সামসুল হক হাওলাদারের ছেলে ও সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ (৫৫) হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি। তাকে বানারীপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব সূত্রে আরও জানা গেছে, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিহত আব্দুল লতিফের স্ত্রী পারভীন বেগম বাদি হয়ে উপজেলার করফাকর গ্রামের তুহিন হাওলাদার তার শ্বশুড় দেলোয়ার হোসেন ঘরামীসহ নয়জনের নামোল্লেকসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বানারীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বানারীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) শতদল মজুমদার জানিয়েছেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে করফাকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে সাবেক আওয়ামী লীগ কর্মী ও বর্তমানে জামায়াতের কর্মী দাবিদার দেলোয়ার হোসেন ঘরামীর সাথে রাজনৈতিক নানান বিষয় নিয়ে বাগবিতন্ডা হয় কৃষক দল নেতা আবদুল লতিফের। একপর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন ঘরামী ও তার মেয়ে জামাতা তুহিনসহ অন্যান্য আসামিদের বেধরক মারধরে গুরুত্বর আহত হন আবদুল লতিফ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।