“মেড ইন বাংলাদেশ”ফোনে বিশ্ববাজার জয় করতে চান আশরাফ

এফএনএস (ফজলে রাব্বী সোহেল; সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ) : | প্রকাশ: ১ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:০২ পিএম
“মেড ইন বাংলাদেশ”ফোনে বিশ্ববাজার জয় করতে চান আশরাফ

বাংলাদেশে প্রযুক্তি নির্ভরতার যুগে দেশীয় মোবাইল ফোন শিল্প দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব ব্র্যান্ড ও উৎপাদন সক্ষমতা গড়ে তোলার এই অভিযাত্রায় অন্যতম ভূমিকা রাখছে আনিরা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই দেশীয় শিল্পকে আত্মনির্ভরশীল করার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি এখন একটি আধুনিক মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বিন্নিপাড়া এলাকায় অবস্থিত আনিরা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নিজস্ব কারখানাটি বর্তমানে দেশের অন্যতম আধুনিক মোবাইল অ্যাসেম্বলি ইউনিট হিসেবে পরিচিত। এখানে দেশীয় প্রকৌশলী, কারিগর ও দক্ষ জনবল একত্রে কাজ করছে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্টফোন তৈরি করতে। প্রতিদিন হাজারেরও বেশি ইউনিট উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে কারখানাটি দেশের বাজারে সাশ্রয়ী দামে মানসম্পন্ন ফোন সরবরাহ করছে।

আশরাফ উদ্দিন বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ শুধু মোবাইল আমদানিকারক না হয়ে প্রযুক্তি উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হোক। দেশীয় কারখানায় মোবাইল তৈরি হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়ে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়। তাঁর মতে, সরকারি প্রণোদনা ও নীতিগত সহায়তা পেলে বাংলাদেশ খুব অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মোবাইল উৎপাদন হাবে পরিণত হতে পারে।

তিনি আরও জানান, আনিরা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড শুধু মোবাইল তৈরি করছে না, বরং গবেষণা ও উন্নয়নে (জ্উ) বিনিয়োগ করছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা ও ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযুক্তি কাস্টমাইজ করা হচ্ছে। এছাড়া, কোম্পানিটি বাংলাদেশে তৈরি “গধফব রহ ইধহমষধফবংয”মোবাইল ফোন আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির পরিকল্পনাও করছে।

বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের বাজারে বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর আধিপত্য থাকলেও আনিরা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় প্রতিযোগিতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। এসব উদ্যোগ শুধু ব্যবসা নয়, বরং দেশের প্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শেষে আশরাফ উদ্দিন বলেন, “দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ করা মানে দেশের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করা। আমরা চাই তরুণ প্রজন্মের হাতে থাকবে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি স্মার্টফোন, যা হবে বাংলাদেশি গর্বের প্রতীক।”

দেশীয় শিল্পের প্রতি তাঁর এই দূরদর্শী চিন্তা ও নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রিতে এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে