বিএনপির নেতাদের নামে বানোয়াট ও কাল্পনিক গল্প সাজিঁয়ে সম্মান ক্ষুন্ন করছে একটি মহল

এফএনএস (মোঃ আলমগীর হোসেন; ভালুকা, ময়মনসিংহ) : | প্রকাশ: ২ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:২০ পিএম
বিএনপির নেতাদের নামে বানোয়াট ও কাল্পনিক গল্প সাজিঁয়ে সম্মান ক্ষুন্ন করছে একটি মহল

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ভালুকা উপজেলা বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের নামে বানোয়াট ও কাল্পনিক গল্প সাজিঁয়ে ভোটারদের ভুল বুঝানোর পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। যে সকল জনপ্রিয় নেতা এলাকায় ভোটাদের প্রিয় মানুষ হিসাবে মনের মাঝে স্থান লাভ করেছে। নির্বাচনের আগে খুজেঁ খুজেঁ তাদের বিরুদ্দে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কুৎসা রটনা শুরু করেছে একটি মহল। যেমন ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের বিএনপির জনপ্রিয় নেতা হাজী শহিদুল ইসলাম। এলাকার সাধারন মানুষ মনে করেন হাজী শহিদুল ইসলাম ভালুকা উপজেলার বিএনপির একজন কর্নধার। কিন্তু একটি মহল তার জনপ্রিয়তায় ইষান্বিত হয়ে সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল বুঝিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ কিছু অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া দিয়ে কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে সমাজে হেয় পতিপন্ন করার পায়তারা করছে।  

আমরা ক,জন সাংবাদিক এতো লিখালিখির কারন জানার জন্য সাক্ষাত করি হাজী শহিদুল ইসলামের সাথে। তিনি প্রথমেই ছালাম দিয়ে আমাদের খোজ খবর নেন। আমরা প্রশ্ন করলাম কেন আপনার বিরুদ্ধে এতে লিখালিখি হচ্ছে। তিনি মৃদুহেসে জানান, সাংবাদিক ভাইয়েরা নিশ্চয়ই জ্ঞানী মানুষ। তারা বুঝে হোক আর না বুঝে হোক ফেইসবুকসহ কিছু মিডিয়া আমার উপর একতরফা আক্রমন করে যাচ্ছে। ওনারা যদি আমার এলাকায় এসে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে খবর প্রকাশ করতো তাহলে এমন মিথ্যে বানোয়াট কাল্পনিক গল্প হয়তো লিখতো না। আমারও রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। তারা আমার জনপ্রিয়তাকে ভাল চোখে দেখছেন না। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আমার কোন রাগ বা ক্ষোভ নেই। তবে আরো জেনে শুনে লিখতে পারতো। কারন আমারও দোষ ত্রুটি থাকতে পারে। আমি একজন মানুষ,মানুষ মাত্রই ভুলের উর্ধে নয়। কারন সবাই যে আমার আপন ঠিক না। অনেকের আমার প্রতি রাগ থাকতে পারে সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বদনাম ছড়াতে পারলে মনে হয় তারা লাভবান হবেন।ওসব নিয়ে ভাবিনি। মানুষ আমাকে ভাল বাসে। আমিও সর্বদাই তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।

 তিনি আরো জানান,২০০৯ সালে বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ঢাকার রাজ পথে আনন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেছি। আমার মা প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সংগ্রাম থেকে শুরু করে ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ঠ হাসিনা পালানোর দিন ভোর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আনন্দোলন সংগ্রামে ঢাকার রাজ পথে ছিলাম। বিএনপি করার কারনে আমিতো ২০১৪ সালেই মারা গিয়া ছিলাম। ২০১৪ সালে ভালুকা থানার ওসি আব্দুল মোতালেব, এ,এসপি সার্কেল গফরগাঁও লালন ও এসপি নরুল ইলসাম একটি মিথ্যা মামলা ঢাকা থেকে আমাকে গ্রেফতার করে উত্তরা থানা নিয়ে অনাবিক নির্যান চালায়। উত্তরা থানায় দুইদিন অনাবিক নির্যান শেষে ময়মনসিংহ ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। ডিবি অফিসে দুই দিন রাখার পর রাত ১টায় ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার জন্য আমার এলাকা হবিরবাড়ীর নিয়ে আসে। ঘটনাটি এলাকাবাসী জানতে পেয়ে রাত দুইটার দিকে সিডস্টোর আমার বাড়ীর সামনে বিএনপির হাজার হাজার নেকাকর্মী পুলিশের গাড়ী ঘিরে বিক্ষোভ করা শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী জীবনের ঝুকি নিয়ে ওই দিন ক্রস ফায়ার থেকে রক্ষা করেছে। আমি মানুষের সেবা করি। আমার জনপ্রিয়তা ইষান্বিত হয়ে মিথ্যে অপবাদ ছিড়িয়ে কার লাভ হবে আমার জানা নেই।  

উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে হবিরবাড়ী শিল্প এলাকা। হবিরবাড়ী ইউনিয়নে ৬৫ হাজার ভোটার রয়েছে সবাই ধানের শীষে ভোট দিবে । এ ভোটারাই আমার শক্তি। আমার পিতা আলাউদ্দি সরকার দীর্ঘন হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের দায়ত্বি পালন করেছেন। পিতা আলাউদ্দিন সরকার একজন ধনাঢ্য বাক্তি ছিলেন। বনের জমি জবরদখল করার কোন প্রশ্নই আসে না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে