বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে বললেন, “আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাই- অবিলম্বে ইসরায়েলের হাতকে দমন করুন। দখল হওয়া অঞ্চলগুলো দ্রুত মুক্ত ঘোষণা করুন এবং ত্রাণবাহী জাহাজের কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন। বাংলাদেশ সরকারের নিন্দা ও মুক্তির দাবিকেও আমরা স্বাগত জানাই। যতদিন ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে না, ততদিন মুসলমানদের লড়াই সহানুভূতি ও সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “নিষ্ঠুর ইসরাইল বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজায় একের পর এক গণহত্যা পরিচালনা করছে। এই গণহত্যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে নারী এবং শিশুরা, এই গণহত্যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছি। সারা দুনিয়া এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে, এই গণহত্যার বিরুদ্ধে, এই নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে, এই শিশু হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে। গতকাল যে ত্রাণবাহী জাহাজের নৃশংসভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, পাঁচশ'র অধিক অধিকার কর্মী, ত্রাণবাহী জাহাজের কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এতে বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে মত দিয়েছে।”
“ফিলিস্তিন ও গাজাকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরও বিশ্বের কিছু শক্তিধর দেশ ছোট্ট ইসরায়েলের পক্ষে অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এই অনৈতিক সহায়তা মানবতার বিরুদ্ধে এক ধরনের খেলায় রূপ নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে ইনশাআল্লাহ।”
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন এতে।
গাজায় ত্রাণ বহনকারী নৌবহর আটকের পর সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ শত শত কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সে বহরে প্রায় ৪০টি জাহাজ ছিল যার প্রায় সবকটিকে আটকে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।