রাজশাহীর বাঘায় খুরচা হিসেবে প্রতিকেজি কাঁচা মচির ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে আড়ানী বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিজ এ দামে বিক্রি হয়।
মরিজ চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় মরিজ চাষ ভাল হয়নি। চাষিরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে স্বাবলন্বী হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে অধিকাংশ জমির মরিজ গোড়া পচে গাছ মরে যাচ্ছে। দাম বেশি হলেও খরচের টাকা উঠছে না।
গত মৌসুমে এ সময় প্রতিদিন আড়ানী বাজারের তালতলা মোড়ে আট’শ মন থেকে এক হাজার মন মরিজ আমদানি হতো। এবার তা নেই। যারা আবাদ করেছিল অতিরিক্ত খরা ও পরে অতিক্তি বৃষ্টির কারনে মরিজ চাষ ভাল হয়নি।
এ বিষয়ে আড়ানী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বাবু হোসেন বলেন, বর্তমানে এই এলাকায় মরিজ পাওয়া যাচ্ছেনা। তাহেরপুর, শিবপুর, ঝলমলিয়াসহ বিভিন্ন স্থধন থেকে মরিচ কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি। মুকামে দাম বেশি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
এ বিষয়ে আড়ানী জোতরঘু গ্রামের মরিজ ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ির গৃহীনি হাট থেকে কাঁচা মরিজ কিনতে বলে। দেখি ৩২০ টাকা দরে প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে। উপায় নেই ৮০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম মরিজ ক্রয় করলাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, পদ্মা নদীর শাখা বড়াল নদীর ধারে হওয়ায় মরিজ আবাদ ভাল হয়। মরিজে ছত্রাক জনিন কীটনাশ সেপ্র করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে মরিজ চাষ হয়েছে।