খাঁনবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার

এফএনএস (নিয়াজ কওছার তুহিন; কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:৫৪ এএম
খাঁনবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে পীর কেবলা হজরত খাঁন বাহাদুর আহছান উল্লা (র.) এর ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (২৮ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় নলতায় পাক রওজা শরীফ প্রাঙ্গনে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সহ সভাপতি ডা. আফতাবুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। 

সেমিনারে ' বর্তমান শিক্ষা সংস্কারে হযরত খান বাহাদুর আহছানুল্লা (র.) এর শিক্ষা চিন্তা ও কর্মের প্রয়োগিক বাস্তবতা’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. একরাম হোসেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. কাজী আলী আজম। 


খান বাহাদুর আহছানউল্লা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, খান বাহাদুর আহছানউল্লা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক এএফএম এনামুল হক, কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান।


অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, খান বাহাদুর আহছানউল্লা (র.) ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা মনিষী। তার বহুমুখি প্রতিভা ছিল, সুবিস্তৃত ছিল তাঁর কর্মপ্রয়াস। তিনি ১৮৯৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। সে সময় বাংলাদেশে মাত্র দুজন মুসলমান এই ডিগ্রী লাভ করেন। আহছানউল্লা (র.) ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। তিনি শিক্ষক থেকে শিক্ষা বিভাগের সর্ব উচ্চ পদে তার কর্ম জীবন শেষ করেন। তার কর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মুসলমানদের জন্য ফুলার হোস্টেল নির্মাণ, সারা দেশে ৩শ’র বেশি স্কুল মাদ্রাসা নির্মাণে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। তিনি কর্মজীবন শেষ করে ফিরে আসেন তার পুণ্যভুমি নলতায়। তিনি দিনে তার কাজ করতেন আর রাতে চলে যেতেন গহিন বনে। একা একা আল্লাহর ধ্যানে নিজেকে বিলিন করতেন। খাঁন বাহাদুর আহছানউলা (র.) জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানবসেবায় কাজ করে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকাকালীন নিজের জায়গা জমি বিক্রি করে মানবকল্যাণে অনেক উন্নয়ন করে গেছেন। তিনি আধুনিক শিক্ষার রূপকার ছিলেন। তিনি ‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ উদ্দেশ্য নিয়ে মিশন তৈরি করে ছিলেন।


আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন নলতা শরীফ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ হাবিবুর রহমান। 


অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শাখা মিশনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে