মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদী এলাকায় শুরু হয়েছে ২২ দিনের মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা। শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সময় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
ইলিশ লোনা পানির মাছ হলেও ডিম দেওয়ার সময় ঝাঁকে ঝাঁকে মিঠা পানিতে ধেয়ে আসায় মা ইলিশ ধরার নিষধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে সারিয়াকান্দি উপজেলার হাজারো জেলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ফলে এনজিওর কিস্তি পরিশোধ ও সংসার চালানো নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম দুশ্চিন্তা। সারিয়াকান্দি উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় সরকারি জেলের সংখ্যা ৪ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৩৫ জন জেলের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও চাল হাতে পাননি। সোমবার সকালে সরেজমিনে যমুনা নদী, সারিয়াকান্দি ও হাটফুলবাড়ী বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, শতভাগ জেলে নিষেধাজ্ঞা মেনে জাল তীরে তুলে রেখেছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছাঃ মুর্শিদা খাতুন বলেন, 'নিষেধাজ্ঞা সফল করতে উপজেলা পর্যায়ে কমিটির মিটিং হয়েছে। ইতোমধ্যেই মাইকে, লিফলেট প্রচার প্রচারণা চলছে এবং অভিযান পরিচালনার জন্য টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া চাল দ্রুত বিতরণ শুরু হবে। তবে কিস্তি বন্ধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা পাইনি বলে জানান তিনি।