বিলিনের পথে ডাকবক্সে হাতে লেখা চিঠি ফেলার দৃশ্য

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) :
| আপডেট: ৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:০০ পিএম | প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
বিলিনের পথে ডাকবক্সে হাতে লেখা চিঠি ফেলার দৃশ্য

সৈয়দপুর উপজেলার ডাকঘরগুলোতে দিন দিন কমছে হাতে লেখা চিঠির সংখ্যা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় যোগ হয়েছে ফেইস বুক তবে হারিয়ে যাচ্ছে কিছু ঐতিহ্য। এক সময় নানা ভাষায় সকলেই হাতে চিঠি লিখতো। ওই চিঠি রঙিন খামে যেত আত্মীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধব,মা, বাবা,প্রিয়জনের কাছে। আবার তার উত্তরও আসতো একই ভাবে।

এখন আর হাতে চিঠি লিখে না কেউ। কেউ যায় না ডাকঘরের দরজায়। লাগে না কোন রঙিন খাম। বহুল প্রচারিত যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকের মাধ্যমে এখন অতি সহজেই সব কিছু বিনিময় হচ্ছে।

সৈয়দপুর প্রধান ডাকঘরের সামনে রয়েছে একটি চিঠির বক্স। এক সময় হাতে লেখা চিঠি ওই বক্সে ফেলতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। কিন্তু আজ  ডাকঘরের সামনে স্থাপিত লাল বক্সে আর কাউকে চিঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় না। মনে হয় ওই চিঠির বক্সটি বড় অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

আধুনিকতার ছোঁয়া ও প্রযুক্তির কারণে এখন সবই পাল্টে গেছে। ফলে কালের বিবর্তনে ডাক বাক্সগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন আর ডাক পিয়নের কোন হাক ডাক নেই। হাতে লেখা চিঠি অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে চালু রয়েছে পত্রিকা, ব্যাংকের নিলাম,সরকারি দাপ্তরিক চিঠি,আদালতের আইনি,কাজী অফিসের বিচ্ছেদ বা তালাকের নোটিশ সংক্রান্ত চিঠি। এখন চিঠির ভারি ব্যাগ টানতে হয় না পোস্টম্যানদের।

সৈয়দপুর নতুন বাবুপাড়া  সাব পোস্ট অফিসের মাস্টার মোঃ মোবারক হোসেন জানান, শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন। বাকি দিনে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকে। তিনি বলেন, এখন তেমন একটা চিঠি আসে না।

পোস্ট মাস্টার খলিলুর রহমান বলেন,অনেক বছর থেকে পোস্ট বিভাগে রয়েছি। এক সময় অফিসিয়াল চিঠির পাশাপাশি স্বজন বা প্রিয়জনদের উদ্দেশেও অনেক চিঠি আসতো। কিন্তু এখন হাতে লেখা চিঠি নেই বললে চলে।

এ বিষয়ে পোস্ট অফিসের এক কর্মচারী বলেন, সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৫টি পোস্ট অফিস রয়েছে। পৌরসভার নতুন বাবুপাড়ায় একটি সাব পোস্ট অফিস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে শাখা অফিস রেলওয়ে কারখানা ও সেনানিবাসে। প্রতিদিন চিঠি আসতো প্রায় এক হাজারের বেশি। এখন কমে গেছে। শাখা অফিসে একটি করে ডাকবাক্স রয়েছে । নিয়মিত খুলে দেখলেও খুব একটা চিঠি এসব বক্সে মেলে না। রঙিন খাম বা ব্যক্তিণত চিঠি এখন দুষ্প্রাপ্য।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে