বিশ্ব বসতি দিবসে মুজিব শতবর্ষ লোগো সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (৬ অক্টোবর) র্যালী, আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কেডিএ। খুলনার শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভায় সকল অতিথি ও আমন্ত্রিতদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মুজিবের লোগো সম্বলিত লিফলেট।
এদিকে, কেডিএর এমন বিতর্কিত কাজে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে আসা আমন্ত্রিতরা। প্রতিবাদ করেছেন সভাস্থলেই।
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দেওয়া মুজিব লোগো সম্বলিত লিফলেটে দেখা যায় পরিকল্পনা শাখার নাম। এ ব্যাপারে কেডিএর পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন কেডিএ চেয়ারম্যানের দপ্তরের উপ-পরিচালক ইজাদুর রহমান। তিনি বলেন, কিছু লিফলেট গাড়িতে রাখা ছিল। যেগুলো ভুলক্রমে বিতরণ করা হয়েছে। নতুন লিফলেটের পরিবর্তে অফিস থেকে পুরাতন লিফলেট ভুল করে নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এমন কাজ গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে চরমভাবে অসম্মান করেছে। যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। গণহত্যাকারী শেখ পরিবার বাবার প্রতি জাতির কোন শ্রদ্ধা নেই। এত কিছুর পরও যারা তার উপর শ্রদ্ধা দেখাচ্ছেন কেডিএর সেসব কর্মকর্তারা স্বৈরাচারের দোসর।
জুলাই যোদ্ধা সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিদায় নিলেও প্রশাসনে এখনো তাদের দোসররা নেতৃত্ব দিচ্ছে। কেডিএর মুজিবের লোগো সম্বলিত লিফলেট বিতরণ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে এ কাজের সঠিক বিচার না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো। এর সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। গণ-অভ্যুত্থানের এতগুলো মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে। কেডিএর এ ধরণের কাজ সেই শহীদদের অপমানের সমান। তা কোন ছাত্র জনতা মেনে নেবে না।
এ বিষয়ে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেলো। আমরা অনেক লিফলেট বিতরণ করেছি এর সাথে পুরোনো কিছু লিফলেট চলে গেছে। আমরা যখন এটা জানতে পেরেছি তখনই এগুলোকে বাতিল করেছি। ভুলবসত এটি হয়েছে- উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে খুঁজে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও উল্লেখ করেন।