চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেশ, জনগণ ও সরকারের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলার সঙ্গে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা জানিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ড. ইউনূস একজন স্বনামধন্য এবং অত্যন্ত বিজ্ঞ মানুষ। তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছে। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, জনগণ যদি আমাদের সুযোগ দেয় তাহলে আমরা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেব।” তারেক রহমান উল্লেখ করেন, তার ব্যক্তিগত কিছু চিন্তাভাবনা, দেশের মানুষের কল্যাণ এবং দেশের উন্নয়নের জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়গুলোও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা সর্বদা আশা করেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বের সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করবে। সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন আয়োজন করা। তিনি আরও যোগ করেন, বর্তমান সরকার কতটা সফলভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন, সেটির উপরই নির্ভর করবে সরকার ও বিএনপির সম্পর্কের উষ্ণতা।
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর মুখোমুখি কোনো গণমাধ্যম সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান নির্বাচনের কৌশল, আওয়ামী লীগের রাজনীতি, নেতাকর্মীদের বিচার, দেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতি, অন্তর্বর্তী সরকার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, শিগগির দেশে ফিরে আসবেন এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ক্ষমতাসীন শাসক পরিবর্তনের পর বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করতে সক্ষম হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, “দেশে একটি মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থানে আমরা আছি। আমার দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছে।”