নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে একটি দল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যায়। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের বিভিন্ন ক্ষতির দিকগুলো শোনেন এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুস সাত্তার তাদেরকে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জামায়াত নির্যাতিত নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেন। দুর্যোগ এবং দুর্ভোগের মাধ্যমে আল্লাহ মুমিনদের পরীক্ষা নেন। সেই পরীক্ষায় যারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন তারাই কামিয়াব হয়। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন ও উপজেলা জামায়াতের নেতারা ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তাৎক্ষণিক খোঁজ নিতে ছুটে আসেন নীলফামারী-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম। তার চেষ্টায় এবং উপজেলা জামায়াত নেতাদের সহযোগিতায় সোমবার সকালে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা যুব বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬৫টি পরিবারের তালিকা গ্রহণ করেছেন। আমরা দ্রুত সেই তালিকা কেন্দ্রীয় সংগঠনের কাছে প্রেরণ করবো। কেন্দ্রীয় সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন ইনশাআল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-২ আসন জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট আল ফারূক আব্দুল লতিফ, জেলা শুরা সদস্য ও নীলফামারী-৪ আসন জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম, উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রশীদ শাহ্, সেক্রেটারি ফেরদৌস আলম, সহকারী সেক্রেটারি শিব্বির আহমেদ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, উপজেলা শিবির সভাপতি মুজাহিদ ইসলামসহ জামায়াত শিবিরের নেতারা।