ভালুকায় উপজেলার জামিরদিয়ার আরিফ নামের একটি কারখানার টয়লেট থেকে সহকারী ম্যানেজার রবিউল ইসলাম নামের এক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। নিহতের বাড়ী নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার মেগশিমুল গ্রামের মৃত রইজ উদ্দিনের ছেলে। নিহতের পরিবারের দাবী রবিউলকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ৮ অক্টোবর বুধবার সন্ধা ৭টার দিকে।
কারখানার ডেপুটি ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম জানান, রবিউল কারখানার সহকারী ম্যানেজার পদে চাকুরী করতো। ঘটনার দিন বিকাল ৫টার থেকেই তাকে কারখানার ভিতর খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে একজন শ্রমিক জানালেন কারখানার একটি টয়লেট দীর্ঘ সময় ধরে ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। লোকজন নিয়ে কারখানার টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে রবিউল ইসলামকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রবিউল ইসলামের তার স্ত্রী নাজমা আক্তার জানান, আমার স্বামী রবিউল দুপুরের খাবার খেয়ে কারখানায় চলে যায়। সন্ধায় ৭টার দিকে খবর আসে রবিউল মারা গেছে। তখন আমি হাসপাতালে চলে যাই। আমার স্বামী একজন সুস্থ্য মানুষ ছিল। তার গলায় ফাঁস লাগানোর দাগ রয়েছে এবং জিব্বা বাহির হয়ে গেছে। রবিউলে সাথে কারখানার কয়েক জন কর্মকর্তার টাকার লেনদেন ছিল। টাকার জন্যই স্বামী রবিউলকে হত্যা করে টয়লেটের ভিতর রেখে দেয়া হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আবদুল মালিক জানান, ভালুকা সরকারী হাসপাতাল থেকে একজন গার্মেন্টস কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে। হত্যা না আত্নহত্যা।