গবেষণা ও একাডেমিক মানোন্নয়নের ধারাবাহিক প্রয়াসে বৈশ্বিক স্বীকৃতিতে নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) প্রকাশিত ২০২৬ সালের বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে গত বছরের তুলনায় ২০০ ধাপ এগিয়েছে দেশের প্রাচীনতম এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নতুন সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) টাইমস হায়ার এডুকেশন-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ২০২৬ সালের এই তালিকায় বিশ্বের মোট ৩ হাজার ১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ছিল ১০০১ থেকে ১২০০-এর মধ্যে। সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান উন্নত হয়েছে গবেষণার পরিবেশ, গবেষণার মান ও শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে সহযোগিতার সূচকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর গবেষণার পরিবেশ সূচকে ঢাবির স্কোর ১০ দশমিক ৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৩। গবেষণার মান সূচকে ৬৭ দশমিক ২ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৫। শিল্পক্ষেত্রের সহযোগিতায় সূচক বেড়েছে ২১ দশমিক ৪ থেকে ৩৩ দশমিক ২-এ। শিক্ষা সূচকে পয়েন্ট ১৭ দশমিক ৭ এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সূচকে পয়েন্ট ৪৫।
বিশ্ব র্যাংকিংয়ে অবস্থান উন্নয়নের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ কমিটি কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সার্বিক নির্দেশনায় গঠিত এ কমিটির আহ্বায়ক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। এ ছাড়া প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্জন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, গবেষণার প্রতি নিষ্ঠা এবং একাডেমিক মানোন্নয়নের ধারাবাহিক উদ্যোগের ফল।”
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কিউএস (Quacquarelli Symonds) প্রকাশিত র্যাংকিংয়েও দেশসেরা অবস্থান ধরে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৫ সালের কিউএস র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ছিল ৫৮৪তম।
এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে একবিংশ শতাব্দীর প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ঢাবির নেতৃত্বের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হলো।