সুজানগরের খাল ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত

এফএনএস (সুজানগর, পাবনা) : ঃ
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:১৬ এএম
সুজানগরের খাল ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত

পাবনার সুজানগর পৌর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের স্রোতস্বীনি ঐতিহ্যবাহী বান্নাই খাল কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে খালটি দিয়ে একদম পানি প্রবাহ বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। পৌরসভার চরভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ মাস্টার জানান, ৬০’র দশক থেকে ৭০’র দশক পর্যন্ত বান্নাই খালটি ছিল স্রোতস্বীনি নদীর ন্যায় প্রবাহমান এবং বেশ গভীর। এ সময় পদ্মা নদীর সাথে বান্নাই খালের সংযোগ থাকায় এলাকাবাসী খালটিকে ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি সেচ এবং মৎস্য আহরণসহ নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেন। কিন্তু ৭০’র দশকের শেষের দিকে বালু ও পলি জমে খালটির সাথে পদ্মা নদীর সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খালটি তার যৌবন হারিয়ে ফেলে। এর পর কালের পরিক্রমায় এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি খালের কিছু অংশ দখল করে বসতি গড়ে তোলায় স্রোতস্বীনি বান্নাই খাল শীর্ণ ডোবায় পরিণত হয়। বান্নাই পাড়ের বাসিন্দা সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন পৌর বাজারের হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাবার ও অন্যান্য ময়লা-আবর্জনা উক্ত খালে ফেলে রাখে। তাছাড়া খালটি কচুরিপানায় ঢাকা পড়েছে। ফলে ঐতিহ্যবাহী ঐ খালটি ভরাট হওয়ার পাশাপাশি পানি প্রবাহ বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ঐ সকল ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে পৌর বাজারসহ আশ-পাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন কচুরিপানা পরিষ্কার এবং ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে খালটি সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে যেতে পারে। হারিয়ে যেতে পারে এর অতীত ঐতিহ্য। এ ব্যাপারে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম নবী বলেন ব্যবসায়ীদের বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা ওই খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। শিগগিরই কচুরিপানা পরিষ্কার করার পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে