যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়া উদ্দিন পলাশ (৪৯) কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে নওয়াপাড়া বেঙ্গল রেলগেট সংলগ্ন সাইদুর রহমান ঘাটের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রইস উদ্দিন (৩৮) নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। নিহত জিয়া উদ্দিন পলাশ নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। তিনি একই ওয়ার্ডের নওয়াপাড়া মডেল কলেজ সংলগ্ন মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। আটক রইস স্থানীয় একটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা বলে জানা গেছে। নিহতের ছোট ভাই কিবরিয়া হোসেন বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে পলাশ ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১০ টার দিকে এলাকাবাসীর মাধ্যমে তার সন্ধান মেলে। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। নিহতের পরিবারের দাবী, রইস উদ্দিন ও তার সহযোগিরা পরিকল্পিতভাবে পলাশকে খুন করেছে। গুম করার উদ্দেশ্যে ভৈবর নদী সংলগ্ন একটি ঘাটের পরিত্যক্ত ঘরে লাশ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পলাশ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকলের ফাঁসির দাবী করেন তারা। এলাকাবাসী জানায়, সাবেক কাউন্সিলর পলাশ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানার পর খোঁজাখুজি শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে রাত ১০ টার দিকে সাইদুর রহমান ঘাটের একটি পরিত্যক্ত ঘরের ভেতর থেকে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই রাতে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রইস নামে এক শ্রমিক নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শোভন বিশ্বাস বলেন, মৃত অবস্থায় সাবেক কাউন্সিলরের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়। দেখে মনে হয়েছে নিহতের শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানো ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। অতিরিক্ত আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হয়েছে। এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. এমাদুল করিম বলেন, সাবেক কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন পলাশকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রইস উদ্দিন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। গণধোলাইয়ের শিকার ওই যুবককে পুলিশ হেফাজতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।