বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় এক পল্লী চিকিৎসকের ওষুধের দোকানে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভান্ডারখোলা বাজার ও বিদ্যালয় সংলগ্নে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পল্লী চিকিৎসক যুগল কৃষ্ণ বসু।
যুগল কৃষ্ণ বসু অভিযোগ করে বলেন, শাশ্বত সম্প্রীতি যুব সংঘের সভাপতি প্রলয় মজুমদার কৃপা (৩৫) ও তার সহযোগী কয়েকজন যুবক বেশ কিছুদিন ধরে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গত ৪ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যার আগে দোকান থেকে তাকে বাইরে বের করে মিথ্যা মেয়েলি অভিযোগ তুলে অপমান করেন এবং দোকান ভেঙে ফেলা বা আগুন ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
তিনি আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘর পোড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে চাঁদা দাবি করা যুবকদের ওই স্থানে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দোকানে আগুন ধরে যায়। আমরা ছুটে এসে দেখি, কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”
ঘটনার পর পল্লী চিকিৎসক যুগল কৃষ্ণ বসু ও তার পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফজলুল হক বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। পল্লী চিকিৎসক যুগল কৃষ্ণ বসু অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানান, রাতের আগুনে ওষুধ, ফার্নিচার, ষ্টিল আলমারি সহ দোকানের সবকিছু পুড়ে যায়। এলাকায় আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শাশ্বত সম্প্রীতি যুব সংঘের সভাপতি প্রলয় মজুমদার কৃপা মুঠোফোনে বলেন, তার এবং তার সংগঠনের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।