ইসলায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তাকে বিমানে করে ইসরায়েল থেকে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শফিকুল আলম শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান।
ফ্লাইট ট্রাকারের দেওয়া তথ্য মতে, বিমানটি ইতোমধ্যে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অবতরণ করেছে।
পোস্টে শফিকুল আলম লিখেন, “তুরস্কের কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করছে, আজই শহিদুল আলমকে বিশেষ বিমানযোগে আঙ্কারায় নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে তুর্কি কর্তৃপক্ষ শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। শহিদুল আলম ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দ্বারা অবৈধভাবে আটক হওয়ার পর জর্ডান, মিসর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে সেসব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তাঁকে মুক্ত করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়।:
দূতাবাসগুলো শহিদুল আলমের মুক্তির বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, গাজা অভিমুখী কনশেনস জাহাজ থেকে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে ধরে নিয়ে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। এক ভিডিও বার্তায় সেসময় এটি জানিয়ে দেন তিনি।