রাজশাহী-১ সংসদীয় আসনে

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি তানোরের কৃতিসন্তান শাহীন

মো: ইমরান হোসাইন; তানোর, রাজশাহী | প্রকাশ: ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি তানোরের কৃতিসন্তান শাহীন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি তানোরের একমাত্র প্রার্থী অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন শাহীন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোদাগাড়ী উপজেলায় বিভিন্ন দলের প্রায় ১০ জন এমপি প্রার্থী রয়েছে। কিন্তু তানোর উপজেলা থেকে কোন দলের এমপি প্রার্থী নেই। এজন্য তিনি আশা করছেন বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন তিনি। ফলে তার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বাণীর ব্যানার ফেস্টুর ও পোস্টার ভরে গেছে। এতে শোভা পাচ্ছে দুই উপজেলার পথঘাট। শাহীন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি। সেখানে বিএনপির নেতৃত্ব দেন এবং তারেক জিয়ার সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে তাঁর। প্রবাসী এই নেতার জন্মস্থান তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসদরে। পিতার নাম মোজাম্মেল হক। তিনি মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সভাপতি ও বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান। তার ভাই বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তুহিন। শৈশব থেকেই ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বয়সে তুলনামূলক তরুণ ও বিপুল ধনসম্পদের মালিক তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনীতির মাঠে ইতোমধ্যেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। নিজ এলাকায় রয়েছে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক প্রভাব এবং জনসম্পৃক্ততা। তিনি প্রবাসী হলেও তার বাবার মাধ্যমে বিপদে আপদে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন। দেশে ও বিদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকার কারণে বিএনপির হাইকমান্ডেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই নেতা পরিবর্তনের প্রত্যাশা নিয়ে রাজনীতিতে আরও বড় ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানা গেছে, তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে রাজশাহী-১ সংসদীয় আসন। এ আসনে খুব অল্প সময়েই ভোটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন শহীন। ভোটারদের মতে, তাঁর জনপ্রিয়তার মূল কারণ মানবিক ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড। দুই উপজেলার অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সহায়তা, ঝরে পড়া শিশুদের কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ক্যান্সার আক্রান্ত বিএনপি কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো এবং জনদুর্ভোগ কমাতে রাস্তা-ঘাট সংস্কারের মতো উদ্যোগে ইতোমধ্যে তিনি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এছাড়াও অসচ্ছল মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষার্থী যেন পিছিয়ে না পড়ে- এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন তিনি তার পরিবার। এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে শাহীন বলেন, গোদাগাড়ী-তানোরে কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বৈষম্য প্রকট। পাশাপাশি মাদক, দখল ও হয়রানিমূলক মামলার সংস্কৃতি জনগণের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছে। এসব প্রতিকূলতা দূর করে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই। মনোনয়ন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির ঘরের ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি দলের হয়রানি মামলার শিকার নেতাকর্মীদের পাশে সবসময় আমি ও বাবা থেকেছি। আশা করি হাইকমান্ড আমার কাজ ও দলীয় অবদান বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দেবেন। সাংসদ নির্বাচিত হলে এলাকায় বিদ্যমান সামাজিক বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার করে তিনি আরও বলেন, আমার অগ্রাধিকার থাকবে- তানোর ও গোদাগাড়ীর সাধারণ মানুষ যেন আর কখনও প্রতিহিংসার শিকার না হন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সকল অপকর্ম বন্ধে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এছাড়াও বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা দাবির মধ্যে যেসব দফা জনস্বার্থের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত, সেগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাব। ই/তা
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে