তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আফরোজ শাহীন খসরু বলেছেন, টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন একটি জাতীয় প্রোগ্রাম। এই টিকা ক্যাম্পেইন প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো ৫ বছর থেকে ১৫ বছর নীচে পর্যন্ত শিশুদের টাইফয়েড জ্বর থেকে রক্ষা করা। কারণ অতীতে দেখা গেছে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের অঙ্গহানি সহ বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়। এই থেকে রক্ষার জন্য সরকার দেশে শিশুদের বিনামূল্যে টাইফয়েড রোগের টিকা প্রদান করছে। তাই একটি শিশু যেনো এই টিকা থেকে বাদ না পড়ে এজন্য অভিভাবকদের টিকা কেন্দ্রে সন্তানকে এনে টিকা গ্রহণের আহবান করেন। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, টাইফয়েড টিকার বিরুদ্ধে কোন গুজব কেউ ছড়ালে এবং টিকা গ্রহণে নিরুৎসাহিত করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ রোববার সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়া রনচন্ডি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
রণচন্ডি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মাহমুদুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ইতোমধ্যে অনলাইনে ২ হাজার ৯শত ৯৫ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকার গ্রহণের জন্য রেজিস্টেশন সম্পন্ন করেছে। এই টিকা গ্রহণে কোন রকম পাশ্ব প্রতিক্রিয়া নাই। রেজিস্টেশন করে টিকা কেন্দ্রে গ্রহণ করতে পারবে না তারা হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে পারবে।
এবিষয়ে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৬২ হাজার ১শত ৭৭ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দানের করা হবে। ইতোমধ্যে ১ লাখ ২০ জন নিবন্ধন করেছে। টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ রেজিঃ কার্যক্রম এমাস জুড়ে চলবে। এছাড়া যাদের জন্মনিবন্ধন কমপ্লিট হয়নি তাদের ম্যানুয়ালি টিকা প্রদান করা হবে। আমাদের টার্গেট পঞ্চগড়ে যেনো একজন শিশু টিকা গ্রহণ থেকে বাদ না পড়ে।
এসময় তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর প্রতিনিধি এসআই প্রদীপ, আহনাফ কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর পরিচালক, কবি ও লেখক এম এ বাসেত, রণচন্ডি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের প্রেন্সিপাল সোহেল রানা, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান হাবিব, স্কুলের শিক্ষক সহ হাসপাতালের স্টাফ নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।