রাজনীতির ভাষা, সৃজনশীলতা হারাচ্ছে, অশ্লীলতা বাড়ছে

এস.এম রায়হান মিয়া
| আপডেট: ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম | প্রকাশ: ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
রাজনীতির ভাষা, সৃজনশীলতা হারাচ্ছে, অশ্লীলতা বাড়ছে

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শ্লোগান, বক্তৃতা, গণসমাবেশ এবং প্রকাশ্য সমালোচনার মধ্য দিয়ে সমাজের রাজনীতিকৃত ভাষার প্রতিফলন ঘটে। তবে গত কয়েক দশকে লক্ষ্য করা গেছে যে, এই ভাষার ধরন ও মান ব্যাপক পরিবর্তনের শিকার হয়েছে। এক সময়ের রাজনৈতিক শ্লোগান ছিল কাব্যিক, সৃজনশীল এবং উদ্দীপক; মানুষের মনকে একত্রিত করার শক্তি রাখত। আজকের দিনে তা পরিবর্তিত হয়ে গেছে-গালিগালাজ, অশ্লীল শব্দ এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ চলে এসেছে শ্লোগান, সমাবেশ, বক্তৃতা এবং এমনকি নির্বাচনী প্রচারণায়। এই পরিবর্তন শুধু রাজনৈতিক নেতাদের দোষ নয়; এটি পুরো সমাজের প্রতিফলন। সমাজের অবক্ষয়, শালীনতার অভাব, অসহিষ্ণু মানসিকতা এবং সামাজিক বিভাজন-ধষষ মিলিত হয়ে তৈরি করছে একটি হিংস্র ও অসভ্য রাজনৈতিক ভাষা।

ইতিহাসে শ্লোগানের সৌন্দর্য ও শক্তি
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্লোগান ও বক্তৃতার গুরুত্ব অপরিসীম। তখনকার সময়ে শ্লোগানগুলো কেবল রাজনৈতিক দাবি ছিল না; সেগুলো ছিল মানুষের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামী মনোভাবের প্রকাশ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভাষা আন্দোলনের সময়কার শ্লোগানগুলো ছিল সৃজনশীল, যেমন-“আমার ভাই, তোমার ভাই, আমরা সবাই ভাই” বা “রক্তের বিনিময়ে আদর্শ রক্ষা করি।” এ ধরনের শ্লোগানগুলো কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং সামাজিক ঐক্য ও নৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শ্লোগানগুলো ছিল আরও গভীর, সংগ্রামী ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ। যুদ্ধকালীন পরিবেশে নেতারা ব্যবহার করতেন এমন ভাষা যা মানুষের সাহস বৃদ্ধি করত, স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখাত এবং ন্যায়বিচারের প্রতি বিশ্বাস জাগ্রত করত। এই শ্লোগানগুলোর সৌন্দর্য ছিল তাদের কাব্যিক ছন্দ এবং মানসিক প্রভাব। তারা শুধু চেতনা জাগাত না, বরং জনগণকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করত।

বর্তমান রাজনৈতিক ভাষার অবনতি
তবে ১৯৭৫ সালের পর থেকে এবং বিশেষত ২০০০-এর দশক থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাষায় হিংসা ও অশ্লীলতার প্রবণতা বেড়ে গেছে। ছাত্ররাজনীতি, সামাজিক আন্দোলন এবং নির্বাচনী প্রচারণায় অশ্লীল শব্দ ব্যবহার ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ছাত্রদল ও ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের সময় শ্লোগানগুলোতে এখন খুবই হিংস্র ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার হয়। র্বতমান ঘটনাগুলোতে লক্ষ্য করা যায় কেবল শ্লোগানই নয়, বাস্তব জীবনের সহিংসতা ও গালি-গালাজের প্রতিফলন।তরুণরা রাজনৈতিক সমাবেশে গালিগালাজ ব্যবহারকে কেবল ভাষার অবক্ষয় হিসেবে দেখছে না; অনেকেই এটিকে “মুক্তির নতুন শ্লোগান” বা “অধিকার প্রতিষ্ঠার মানসিক অস্ত্র” হিসেবে ব্যাখ্যা করছে। তারা যুক্তি দিচ্ছে যে, এই অশ্লীলতা নিছক কুরুচিপূর্ণ নয়, বরং একটি প্রতীকী প্রতিবাদ। অন্যদিকে, শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত এবং সামাজিকভাবে সচেতন অংশের মানুষ এই প্রবণতাকে হিংস্র ও অবমাননাকর হিসেবে দেখছে।

সমাজ ও শিক্ষার ভূমিকা
রাজনৈতিক ভাষার এই অবনতি কেবল রাজনৈতিক নেতাদের কারণে নয়। এটি পুরো সমাজের প্রতিফলন। যখন পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যম শালীনতা, ভদ্রতা ও সহনশীলতা প্রচারে ব্যর্থ হয়, তখন তরুণ প্রজন্ম এমন ভাষা ব্যবহার করে যা তারা চারপাশ থেকে শিখেছে। সামাজিক অভ্যন্তরীণ অবক্ষয়, অনুশাসনহীন পরিবেশ, এবং অসহিষ্ণু মনোভাব-এসবই আজকের হিংস্র রাজনৈতিক ভাষার মূল কারণ।শিক্ষা ব্যবস্থায় এখনো প্রধানত রটনভিত্তিক পদ্ধতি চলছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সহমর্মিতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং ভাষার সৌন্দর্য বিকাশে পর্যাপ্ত জোর নেই। ফলে, রাজনীতিতে ব্যবহার হওয়া ভাষাও একই ধরণের-সরাসরি, কটু, হিংস্র এবং প্রায়শই অশ্লীল।

গালিগালাজের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব
১. রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়: অশ্লীল ভাষা ব্যবহার রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে। সমালোচনা, বিতর্ক এবং আলোচনার মান হ্রাস পাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এখন ব্যক্তিগত আক্রমণ, অপমান এবং কুরুচিপূর্ণ ভাষার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। ২. তরুণ প্রজন্মের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব: তরুণরা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহী হওয়ার বদলে হতাশ ও বিরক্ত হয়ে পড়ছে। তারা নেতাদের থেকে অনুপ্রেরণা না নিয়ে বরং নেতিবাচক আচরণ ও ভাষা শিখছে। ৩. গঠনমূলক আলোচনার অভাব: রাজনীতিতে সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে অপমান ও হিংস্রতা বাড়ছে। জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে যুক্তি, প্রমাণ এবং নৈতিক মূল্যবোধের জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। ৪. সামাজিক বিভাজন ও সহিংসতা: অশ্লীল ভাষা শুধুমাত্র বক্তৃতা বা শ্লোগানেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এটি সমাজে সহিংস মনোভাব ও বিভাজনের কারণও হচ্ছে। রাজনৈতিক সংঘাত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব এবং দলীয় সংঘর্ষ তীব্র হচ্ছে।

বিশেষ উদাহরণ ও পর্যবেক্ষণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, খুলনা বা যেকোনো জেলা শহরের রাজনৈতিক সমাবেশ-প্রায় সব জায়গায় লক্ষ্য করা যায় হিংস্র এবং অশ্লীল ভাষা। এতে প্রভাব পড়ছে মিডিয়ায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যে। সম্প্রতি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে, শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা কিছু শ্লোগান ছিল এতটা অশ্লীল যে তা সামাজিকভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা দেখিয়েছে যে, অশ্লীল ভাষা শুধু রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ নেই; এটি সমাজের মানসিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধেরও প্রতিবিম্ব।

আন্তর্জাতিক তুলনা
অন্যান্য দেশে, যেমন লন্ডন, প্যারিস, নিউ ইয়র্ক বা জাপানের টোকিও-রাজনীতিতে উত্তেজনা থাকলেও ভাষা সাধারণত ভদ্র ও সুশৃঙ্খল থাকে। বক্তৃতা ও শ্লোগানগুলো তীক্ষ্ন হলেও কেবল যুক্তি ও প্রমাণের উপর ভিত্তি করে হয়। সেখানে শিক্ষার মান, সামাজিক শালীনতা, এবং গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা রাজনীতির ভাষাকে সীমিত ও সুশৃঙ্খল রাখে।

সমাধান ও সুপারিশ
রাজনৈতিক ভাষার এই অবনতি বন্ধ করতে একাধিক স্তরে কাজ করতে হবে:

১. শিক্ষা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, মানবিক মূল্যবোধ, সহমর্মিতা এবং সংলাপের শিক্ষা দিতে হবে। কেবল রটন নয়, বাস্তব সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশের ওপর জোর দিতে হবে।

২. পরিবার ও সামাজিক শিক্ষা: পরিবারের পর্যবেক্ষণ ও সামাজিক মানসিকতার মাধ্যমে ভদ্রতা, সহনশীলতা এবং শালীনতার চর্চা বাড়াতে হবে।

৩. গণমাধ্যমের ভূমিকা: সংবাদপত্র, টিভি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-সবখানেই উত্তেজক ও অশ্লীল ভাষার প্রচার কমাতে হবে। রাজনৈতিক বিতর্কের কাঠামোতে যুক্তি ও তথ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে।

৪. রাজনৈতিক দল ও নেতাদের দায়িত্ব: নেতারা নিজেদের ভাষা ও আচরণ শুদ্ধ করুন। শ্লোগান, বক্তৃতা এবং প্রচারণায় কেবল হিংস্রতা নয়, যুক্তি ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রদর্শন করুন।

৫. সৃজনশীল প্রচেষ্টা: রাজনৈতিক শ্লোগান ও বক্তব্যকে কাব্যিক, সৃজনশীল এবং অনুপ্রেরণাদায়ক করতে হবে। এটি শুধু হিংস্রতা কমাবে না, মানুষের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

৬. সাংবাদিকতা ও নাগরিক দায়িত্ব: গণমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষকে দায়িত্বশীল হতে হবে। অশ্লীল ভাষা প্রচারণা বা প্রচলন করা হলে তার প্রতিবাদ করতে হবে। একই সঙ্গে ইতিবাচক রাজনৈতিক শ্লোগান ও সৃজনশীল আলোচনার প্রচার বাড়াতে হবে।

রাজনৈতিক সংস্কৃতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব
রাজনৈতিক ভাষা কেবল নেতাদের বা সমাবেশের অংশ নয়; এটি একটি জাতির মানসিকতা ও সামাজিক সংস্কৃতির দিক নির্দেশক। যখন রাজনৈতিক শ্লোগান ও বক্তৃতায় অশ্লীলতা, হিংস্রতা এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রধান হয়ে যায়, তখন সমাজও সেই মানসিকতায় প্রবেশ করে। এটি তরুণ প্রজন্মকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। শিক্ষিত সমাজে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা যুক্তি, তথ্য এবং নৈতিকতা দ্বারা পরিচালিত হয়, কিন্তু অশ্লীল ও হিংস্র ভাষা রাজনীতিকে নোংরা করে, বিভাজন সৃষ্টি করে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করে।

তরুণ প্রজন্ম ও রাজনৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব
বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এই তরুণরা রাজনীতি শিখছে-কিন্তু প্রাপ্ত শিক্ষা হচ্ছে হিংস্রতা ও অশ্লীলতার শিক্ষা। এক্ষেত্রে শিক্ষাব্যবস্থা, পরিবার এবং গণমাধ্যমের সংহত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানবিক মূল্যবোধ, সহনশীলতা, যুক্তি-বিচার এবং সংলাপের গুরুত্ব শেখানো হলে তরুণরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে সংযত ও ইতিবাচকভাবে।

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা
বর্তমান সময়ের রাজনীতি শুধু সভা-সমাবেশে সীমাবদ্ধ নেই; এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিস্তৃত। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে হিংস্র ও অশ্লীল ভাষার প্রচার রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আরও দূষিত করছে। গণমাধ্যম যদি দায়িত্বশীল না হয়, তবে তরুণরা এই আচরণকে নৈতিক ও গ্রহণযোগ্য মনে করতে শুরু করবে। একই সঙ্গে মিডিয়াকে ইতিবাচক রাজনৈতিক সংলাপ প্রচারে উৎসাহিত করতে হবে।

রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব ও নেতৃত্ব
নেতাদের ভাষা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি নয়; এটি দলের মূল্যবোধ, নীতি এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিফলন। তাই নেতাদের উচিত হিংস্র, কটু এবং অশ্লীল ভাষা পরিহার করা। শ্লোগান, প্রচারণা এবং বক্তৃতায় যুক্তি, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রদর্শন করা আবশ্যক। নেতারা যদি নিজেদের আচরণে সঠিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, তবে সমগ্র রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

সৃজনশীল ও অনুপ্রেরণাদায়ক শ্লোগানের প্রয়োজনীয়তা
একটি জাতির রাজনৈতিক শ্লোগান শুধুমাত্র দাবি নয়; এটি মানুষের মন, আশা এবং ঐক্যের প্রতীক। অতীতে যেমন শ্লোগানগুলো কাব্যিক, ছন্দময় ও সংগ্রামী ছিল, তেমনি আজও তা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যুব সমাজের আন্দোলনে শ্লোগানকে কাব্যিক ও সৃজনশীল করা সম্ভব-যা হিংস্রতার বদলে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে, সংঘর্ষের বদলে সমাধানের পথ দেখাবে।

সবশেষে বলা যায় :
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গালিগালাজ ও অশ্লীল ভাষার ব্যবহার একটি গুরুতর সমস্যা। এটি কেবল রাজনীতিকদের কারণে নয়; এটি সমাজের অবক্ষয়, শিক্ষার দুর্বলতা এবং গণমাধ্যমের দায়িত্বহীনতার প্রতিফলন। রাজনৈতিক ভাষা যদি হিংস্র ও অশ্লীল হয়, তবে সমাজে সহনশীলতা, শালীনতা এবং নৈতিকতা হারাতে পারে।

রাজনৈতিক সংস্কৃতি সুন্দর করার দায়িত্ব শুধুমাত্র নেতা বা দলের নয়; এটি সমাজের, শিক্ষাব্যবস্থার, পরিবার ও গণমাধ্যমের যৌথ দায়িত্ব। সৃজনশীলতা, ভদ্রতা, সহমর্মিতা এবং যুক্তি-বিশ্লেষণের মাধ্যমে রাজনীতি হতে পারে একটি শক্তিশালী, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং নৈতিক চেতনার অঙ্গ।

একটি জাতির রাজনৈতিক ভাষা তার মানসিকতার, শিক্ষার এবং সামাজিক নৈতিকতার প্রতিফলন। তাই অশ্লীলতা নয়, প্রয়োজন সৃজনশীলতা, ভদ্রতা এবং সংলাপ। রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সুন্দর করার দায়িত্ব আমাদের সবার। সমাজের প্রতিটি স্তরে শালীনতা, শিক্ষার মান এবং গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করতে পারলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ভাষা আবারো হতে পারে সৃজনশীল, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।

এস.এম রায়হান মিয়া, কলামিস্ট