টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশফাকুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে তৃতীয় বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) গালা ইউনিয়নের ভাটচান্দা গ্রামের এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ওই বাড়ির এক মহিলাকে ধর্ষণ করতে গেলে মহিলার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে মহিলাকে উদ্ধার করে স্কুল শিক্ষককে আটক করেন। পরে স্থানীয়রা শিক্ষককে মরধর করে তার স্ত্রীকে খবর দিলে বাবুর স্ত্রী গিয়ে তাকে ঘটনাস্থল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃস্টি হয়। পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা আজ রোববার (১২ অক্টোবর) অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ির সামনে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে “বাবুর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে”বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃস্টি হয়।
সংবাদ পেয়ে টাঙ্গাইল সদর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, গালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, শাপলা ইউনিভার্সাল সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক আমির হোসেন বাবু সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বাবুর কঠিন শাস্তির বিষয়ে আশ্বাস দেন।
জহিরুল ইসলাম নামের স্থানীয় একজন জানান, এর আগেও এই লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরপর দুইটি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে একাধিকবার জেলও খেটেছে। এরপরও আবার একই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়ার মতো না। এর কঠিন শাস্তি চাই। ২০০৩ ও ২০১০ সালের দিকে দু’টি শিশুকে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে জানতে আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী জিন্নাহ’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল কররেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
গালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, সকালে স্কুলের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত বাবু মাস্টারের বাড়ির সামনে সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করলে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন আমি বিষয়টি জানতে পারি। পরে টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আসলে তাকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় থেকে নিয়ে স্কুলে বসে তাদের দাবির বিষয়ে আস্বস্ত করা হয়। বিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবং যে ঘটনাটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সে বিষয়ে একটি ভিডিও আমি দেখি। সেখানে আমি দেখতে পাই আমার পার্শ্ববর্তী গ্রামেরএকটি মেয়ের সাথে অপ্রিতীকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পরে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ে ক্লাম নেয়ার সময় বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের স্পর্শকাতর যায়গায় তিনি হাত দেন এবং অশালীন কথাবার্তা বলেন।