নওগাঁর পোরশায় সকালে নিখোঁজের পাঁচ ঘন্টা নয় বছরের এক কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটনের কথা জানিয়েছে পুলিশ। ১২ অক্টোবর নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত এক প্রেস রিলিজে জানাগেছে, ৯ অক্টোবর সকালে বাসায় খাওয়া দাওয়া করে আনুমানিক ৯টায় খেলাধুলার জন্য বাড়ি থেকে বাইরে গেলে কিছু সময় পর তার মা মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, সুমাইয়াকে কে কাহারা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের হিরাডাংগা গ্রামের মোশারফ হোসেন মশার আমবাগানের ভিতরে হাত বেঁধে মুখের ভিতর মাটি দিয়ে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। প্রেস রিলিজে আরো বলা হয়, ঘটনার বিষয়ে সংবাদ পেয়ে পোরশা থানা পুলিশ সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং একইদিন থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। এরপরই জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বিপিএম এর তত্ত্বাবধানে এবং মহাদেবপুর সার্কেল এর তদারকিতে ও পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমানের নেতৃত্বে ওই শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটনের কাজ শুরু করেন। ফলে ঘটনার ৪৮ঘন্টার মধ্যে ১০ অক্টোবর রাতে ঘটনার সাথে জড়িত কুশার পাড়া গ্রামের আঃ বারির ছেলে মাহবুব আলম(৩০) ও বদিনাথের ছেলে সুজন(১৯) এবং পাঁচড়াই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে নুর আলম (৩০) গ্রেফতার করেন। পরে আসামীদের আদালতে প্রেরণ করলে তারা ভিকটিমকে পেয়ারা দেওয়ার কথা বলে বাগানে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এসময় ভিকটিম চিৎকার করলে কাপড়ের মোটা ফিতা গলায় পেঁচিয়ে হাত বেঁধে এবং মুখের ভিতর মাটি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এঘটনায় আরো এক ব্যক্তি জড়িত আছে এবং সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে বলে প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে।