নওগাঁয় কয়েকটি পুকুর লীজ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মালিকের জোরপূর্বক দখল

এফএনএস (আব্দুল আজিজ; নওগাঁ) :
| আপডেট: ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম | প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
নওগাঁয় কয়েকটি পুকুর লীজ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মালিকের জোরপূর্বক দখল

নওগাঁয় মোট ৪৬. ৯০ বিঘা জলা বিশিষ্ট কয়েকটি পুকুর  লীজ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মালিক পক্ষ সেগুলো জোরপূর্বক দখল করে অন্যত্র লীজ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। উপরন্তু আরও ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগ করেছেন লীজ গ্রহিতা। এতেই ক্ষান্ত হয়নি তারা।  পুকুর দখলমুক্ত নেয়ার জন্য রানীনগর থানায় লীজ গ্রহিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

লীজ গ্রহিতা নওগাঁ শহরের দুবলহাটি রোড, হাট- নওগাঁ মহল্লার স্বনামধন্য মৎস্য চাষী মোঃ ছাইদুর রহমানের কন্যা রুবাইয়া প্রভা রানীনগর উপজেলার আতাইকুলা মৌজায় ১ নম্বর স্লুইচগেট সংলগ্ন জনৈক মৃত ছাবের আলী ফকিরের পুত্র মোঃ মেহেদুল ইসলামসহ ১৪ জনের মালিকানাধীন  ৩৩টি দাগে ২৬.৭৫ বিঘা এবং মোট ১৪টি দাগে উক্ত মেহপদুল ইসলামসহ ৮ জনের মালিকানাধীন ২০.১৫ বিঘা মোট ৪৬.৯০ বিঘা জলা বিশিষ্ট কয়েকটি পুকুর পৃথক দুটি চুক্তিপত্র মোতাবেক লীজ গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও অন্য চুক্তিপত্র মেতাবেক আরও প্রায় মপরিমাণ পুকুর  ১-৩-২০১৭ থেকে ১-৩-২০২৬ পর্যন্ত ১০ বছরের জন্য লূজ আদান প্রদান হয়। এর মধ্যে প্রথম আট বছরের জন্য প্রতি বিঘা জমি ১৩ হাজার টাকা করে এবং শেষ দু'বছর প্রতি বিঘা জমি বিশ হাজার টাকা করে লিজ মানি হিসেবে চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়। সে হিসেবে প্রতিবছর লিজদাতা জমির মালিকরা নিজ গ্রহীতার নিকট থেকে টাকা প্রাপ্ত হতেন। বছর লীজ গ্রহিতার ৮ বছর পূর্ণ হয়েছে। লীজ গ্রহিতার ভাষ্যমতে মেয়াদ পূর্তির ২ বছর আগেই দুটি চুক্তিপত্রের যেসব ৪৬.৯০ বিঘা পুকুর তারা পুকুর দখলে নেয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে। ১৫ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত দাবী করা হয়। বার্ষিক লীজ মানি নেয়া বন্ধ করে দেন।  দখল না  নেয়ার আগেই এসব পুকুর অন্যত্র লীজ দেয়া শুরু করেছেন তারা। এতে পূর্বের লীজ গ্রহিতা রুবাইয়া প্রভা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কারণ পুকুর গুলোতে যেমন প্রচুর মাছ রয়েছে তেমনই পুকুরগুলোর চারদিকে পার জুড়ে রয়েছে প্রচুর ফলন্ত আমগাছ। 

এদিকে এ ব্যাপারে জমির অন্যতম মালিক মোঃ মেহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন নিজ গ্রহীতার সাথে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে সবকিছু নিষ্পত্তি হয়েছে। তার কথামতোই কুকুরগুলো অন্যত্র লিজ দেয়া হয়েছে।  কারণ এখন পুকুর গুলোর লিজ মানে অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়াও পূর্বের লীজ গ্রহীতা রুবাইয়া প্রভা সেখানে একটি মৎস্য হ্যাচারি নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। দোষে কেউ করে দেয়নি। কুকুরগুলোতে যে মাছ রয়েছে তার মূল্য নির্ধারণ করে টাকাও দিতে চেয়েছি।  পূর্বের সবকিছু মেনে নিলেও পরবর্তীতে হঠাৎ রহস্যজনকভাবে কুকুরগুলো দখলমুক্ত করতে গড়িমসি করছে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে