পীরগঞ্জে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

এফএনএস (মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান; পীরগঞ্জ, রংপুর) : | প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
পীরগঞ্জে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

সারাদেশের ন্যায় রংপুরের পীরগঞ্জে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের আয়োজনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।   ‎‎‎‎ 

২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, ৭৫ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও আটকের প্রতিবাদে সারা দেশে এমপিভুক্ত শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, পীরগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান, বাশিদস শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবু আজাদ বাবলু, চতরা বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব প্রধাণ, চতরা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের উপজেলা আমির মাওলানা মিজানুর রহমান পীরগঞ্জ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল করিম সরকার,শিক্ষক নেতা ময়নুল ইসলাম, আজাদ মিয়া, শাহিনুর ইসলাম, মওলানা ইদ্রিস আলী একাত্নতা প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির মারুফ আহম্মেদ, ইসলামী আন্দোলন নেতা সুলতান মাহমুদ, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা রুহুল আমিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের এ আন্দোলন জল কামান, লাঠিচার্জ করে বন্ধ করা যাবে না। আমাদের এই যৌতিক দাবি মেনে নিয়ে অনতিবিলম্বে মেনে নেয়া না হলে তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। একদিকে সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে নানা পরিকল্পনা ও কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে, অন্যদিকে সেই শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম চালিকাশক্তি-বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা-জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রতিদিন নিঃশেষ হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দাবি জানিয়ে আসছেন-মূল বেতনের ওপর যৌক্তিক হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা শতভাগ প্রদান, এবং সবচেয়ে বড় দাবি-বেসরকারি শিক্ষার জাতীয়করণ। এই দাবির পেছনে রয়েছে তাদের বাস্তব জীবনযুদ্ধের নির্মম অভিজ্ঞতা। সম্প্রতি এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ চলমান আন্দোলনে শিক্ষকদের ওপর প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশি হামলা, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ-সবই ছিল তাদের ন্যায্য দাবি দমনের এক নির্মম উদাহরণ। এমন হাস্যকর সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমাজকে ক্ষুব্ধ করেছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে