রেল সেবায় কালোবাজারিদের দৌড়াত্ব যেন থামছেইনা। টিকিট বিক্রি এনালগ থেকে ডিজিটালেও ভোগান্তির শিকার দূরপাল্লার যাত্রীরা। রেল যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে সিলেট রেলষ্টেশনে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
তবে, কাউকে ধরতে না পারলেও দেখা গেছে অনলাইনের টিকেটগুলো নিমিশেই উধাও হয়ে গেছে। মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই আর খুজে পাওয়া যচ্ছেনা টিকেট। ডিসি সারওয়ার আলম রেলকর্মীদের বলেন, অনলাইনে ২ মিনিটের মধ্যে টিকেট শেষ, এটাতো কোন সিস্টেম হতে পারে না।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এরপর আমরা দেখবো যে, এই সিস্টেম থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায়। ম্যানুয়ালি যখন টিকেট বিক্রি হতো তখন কিছু লোক কাউন্টার থেকে কিনে কালোবাজারি করতো। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে টিকেট কিনে কালোবাজারি করছে। সিন্ডিকেট করতেছে, তারা অনেকগুলো একাউন্ট করে মুহুর্তের মধে টিকেটি নিয়ে নিচ্ছে।
এসময় ডিসি বলেন, সমস্যাটা হচ্ছে অনলাইনে বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকে ট্রেনের টিকেট কাটা যাচ্ছে। আজকের সকালবেলার যে ট্রেনটা ছিলো সেটির টিকেট কিন্তু কাউন্টার থেকে মাত্র ১টা কাটা হয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২০০টা টিকেট কাটা হয়েছে। এখন আমরা এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি, এই সমস্যাটা কোন কোন জায়গা থেকে হচ্ছে। অনলাইনে টিকেট আসামাত্র যে দ্রুত শেষ হয়ে যাবে সেটি তো কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। অথচ যাত্রীরা ঠিকমতো টিকেট পাচ্ছেন না। এই সমস্যাটা কোন জায়গা সৃষ্টি হচ্ছে সেটি আমরা বের করবো। আমাদের প্রথম দেখার বিষয় হচ্ছে যে, এখানকার স্থানীয় কেউ জড়িত কি না। রেলওয়ের স্টাফ যদি কেউ জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিসি বলেন, আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে- রেলওয়ের জায়গায় কিছু অসাধু মানুষ স্থাপনা করে নিয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সিলেট রুটে স্পেশাল কোনো ট্রেন চালু করা যায় কি না, এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি।
আমরা এই প্রক্রিয়ায় যেতে চেষ্টা করবো- এনআইডি ছাড়া যাতে কিছুতেই ট্রেনের টিকেট কেনা-বেচা করা না যায়। তখন দেখা যাবে টিকেট কালোবাজারি অনেক কমে গেছে।