জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যে নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে একজনকে একটি মার্কা থেকে বঞ্চিত করতে পারে ঐ নির্বাচন কমিশন এই বাংলাদেশে কখনোই স্বাধীন, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারে না। ঐ নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই বাংলাদেশে কোন সির্বাচন হতে পারে না। এনসিপি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা আসনে প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমরা মনে করি আমাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। বিগত সময়ে টাকার বিনিময়ে নমিনেশনের যে কালচার, আমরা সে করাপটেড কালচারে যেতে চাই না। তাই আমরা জেলা থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত কমিটি করতে চাই। এনসিপি ত্যাগি নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আগামী সংসদে প্রত্যেকটি আসনে আমরা জিতে আসার মতো সেই ধরণের যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারবো। প্রতিটি আসনের জন্য এনসিপি পার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে সাংগঠনিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সারজিস আলম আরো বলেন, এনসিপি একটি অপরিহার্য্য দল। যারা সেখানে থাকলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ফ্যািিস্ট উৎখাত করা যে লড়াই সেটার নেতৃত্ব সঠিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা বিশ্বাস করি আগামী সংসদ নির্বাচনে এনসিপি নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করবে। আমরা চাই, স্থিতি’শীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ একটি সংসদ। সংস্কার এবং বিচার এই কার্যক্রমের যে ধারাবাহিকতা নির্বাচনের পরেও এই ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এনসিপি তাদের জায়গায় বরাবরের মতোই সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করে যাবে। এছাড়াও তরুণদের ক্ষমতায়ন আগামীর বাংলাদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, আমরা সেই তরুণদের ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ দুর্ণীতি বিরোধী একটি গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আগামী বাংলাদেশকে গড়তে চাই।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি খুব শিঘ্রই এনসিপির সাংগঠনিক বিস্তৃতি বাংলাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়বে এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও দৃশ্যমান বিচারের পরবর্তীতে যে গণতান্ত্রিক পক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে এনসিপি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে আবির্ভূত হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির ময়মনসিংহে জেলা সাংগঠনিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টির ময়মনসিংহ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী এডভোকেট জাবেদ রাসিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।