দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে চালিয়ে ৩০০ মিটার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী (রিং জাল) জব্দ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইসাহাক আলী। তাকে সহযোগিতা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জব্দকৃত নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী (রিং জাল) আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
জানা যায়, গোপান সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ী বাজার সংলগ্ন ছোট যমুনা নদীতে চায়না দুয়ারী (রিং জাল) বসিয়ে মাছ ধরার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইসাহাক আলী। এ সময় মালিক পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী (রিং জাল) ৫০ মিটার করে লম্বা ৬টি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জালের আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে এসব জব্দকৃত জাল উপজেলা চত্বরে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক জাফর অরিফ চৌধুরী, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সারোয়ার হাসান, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেশীয়ে প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নরে লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমানে নদীতে পানি কম থাকায়, দেশীয় প্রজাতীর মাছ বিলুপ্ত হতে চলেছে। অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী জালসহ বিভিন্ন অবৈধ জাল দিয়ে দেশীয় মৎস্য শিকার করা হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জলজ প্রাণি ও উপকারী কীট পতঙ্গ বিলুপ্ত হচ্ছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইসাহাক আলী বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ নিষিদ্ধ এসব জাল দিয়ে মাছ শিকার করে তবে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।