আমাদের সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে চাই না: মামুনুল হক

এফএনএস (শাকিল আহমেদ শাহরিয়ার; শেরপুর) : | প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
আমাদের সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে চাই না: মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, চব্বিশের বিপ্লবে প্রায় শতাধিক মাদরাসার তালিমুল আলেম রক্ত দিয়েছে। এত রক্ত দিলাম, এত জীবন দিলাম কারো সঙ্গে দেন দরবার করার জন্য না। আমাকে অনেকে এমপি আর মন্ত্রী হওয়ার কথা বলে প্রস্তাব দেয়। তাদের পরিষ্কার করে বলি আমাদের সন্তানদের  রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। আমরা চেয়েছি দেশে ইসলামের অধিকার। দেশ ও জাতির স্বার্থে ইসলাম বাস্তবায়িত হবে এই  প্রশ্নে কারো সঙ্গে  আপোষ নয়।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে শেরপুর পৌর পার্কে হেফাজত ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলনে তিনি এইসব কথা বলেন । তিনি বলেন, আমাদের কোরআনকে কেউ অবমাননা করবে না এই নিরাপত্তাটুকু চেয়েছিলাম।  মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করবে না এই তো আমাদের দাবি ও প্রত্যাশা ছিল । আল্লাহর নবীর ইজ্জতের ওপর আঘাত আনা যাবে না। আমাদের এই দাবি এটা কী কোনো অযৌক্তিক দাবি। এটা শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানদের হৃদয়ের দাবি। এটা এমন দাবি এ ব্যাপারে কারো সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করার সুযোগ নেই। আমাদের হৃদয়ের এই ব্যথা সেই সরকার বুঝতে পারেনি, বুঝার চেষ্টা করেনি। বরং যারা আমার ভাই আমার সন্তান আল্লাহর নবীর ইজ্জতের হেফাজতের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান মৃত্যুদণ্ডের দাবি নিয়ে তারা শাপলা চত্বরে গিয়েছিল। এই অপরাধে জালিমের বুলেটের আঘাত, হেমলেট লীগ, হাতুড়ি লীগ, গুন্ডা লীগ তারা রাজপথে পুলিশ, বিজিপি, বিডিআর আর র‌্যাবের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গোটা মতিঝিল থেকে নিয়ে টিকাতুলী এবং প্রেসক্লাব থেকে নিয়ে শুরু করে কমলাপুর গোটা শহরের আওয়ামী গুন্ডারা সেদিন নিজেরা অস্ত্র হাতে নেমে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের বহু নিরীহ নিরস্ত্র নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতাকে হত্যা করেছে। এভাবে হত্যা করে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেন শাপলা চত্বরে কোনো মানুষ মারা যায়নি। আমাদের শহীদরা নাকি বুকে রং মেখে শুয়েছিল। আমাদের শাহাদাতপ্রাপ্ত ভাইদের রক্ত নিয়ে উপহাস করা হয়েছিল। এভাবে একটার পর একটা অপবাদ দেওয়া হয়েছিল হেফাজত ইসলামের ওপর। অপবাদ দেওয়া হয়েছে নবীপ্রেমী তৌহিদী জনতার ওপর। তিনি  অন্তর্বতী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বিপ্লব আর সেই বিপ্লবের ফলে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বতী সরকার। বিপ্লবের এই চেতনা, বিপ্লবীদের আত্মার সম্মান প্রদর্শন করার জন্যও হলেও প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আর যারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দিতা করছেন, তা ভালো কথা। কিন্তু আগামী দিনে ক্ষমতায় এসে ইসলামের জন্য কী করবেন, যারা আল্লাহর নবী ও কোরআন নিয়ে কটূক্তি করে তাদের ব্যাপারে কি শাস্তি দিবেন সেগুলো আগে জাতির সামনে তুলে ধরবেন। পরে সব দেন দরবার হবে। শানে রিসালাত এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মুফতি খালিদুর রহমান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে