বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, “আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো কিছু হতো না। ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবকিছুই ছিল আওয়ামী লীগের দখলে। চুরি, ডাকাতি, লুট থেকে শুরু করে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ব্যাংকগুলোকে শেষ করে দিয়ে বিদেশে পাচার করেছে আমাদের সম্পদ। লন্ডনে তাদের বাড়ি আছে ৩৬৫টি। হাসিনা চলে যাওয়াতে মানুষের মধ্যে শান্তি নেমে এসেছে। এখন সবাই অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারে।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “কয়েকটি দল পিআর নিয়ে চিৎকার করছে। আসলে জনগণ কি পিআর বুঝে? পিআর পদ্ধতি হচ্ছে ব্যক্তিকে নয় দলকে ভোট দিতে হবে। যে পদ্ধতিতে আমি বুঝতেই পারবোনা যে আমি কাকে ভোট দিচ্ছি, সেই পদ্ধতিতে ভোট দেব কিভাবে?’ পিয়ারসহ নানান দাবিতে বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করে বর্তমানে আন্দোলন করা হচ্ছে। এগুলোর একটাই উদ্দেশ্য, নির্বাচন যেন না হয়। জনগণ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়। তাদের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। এ বিষয়ে আমরা কোন আপোষ করব না।”
‘আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হোক। যে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ সরকার নির্বাচিত হবে জনগনের ভোটের মাধ্যমে। তবে রাতের ভোটে নয়। জনগণ তার ইচ্ছে মতো প্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে সরকার গঠন করবে’-উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি সকলকে পিআর থেকে শুরু করে সকল কিছু বাদ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আহ্বান জানান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, “৬০ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। জেলখানায় পাঠানো হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের। মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাগারে আটক করে রেখেছে। পদ্মা নদীতে নাকি টুস করে ফেলে দেবে এমন মন্তব্য করেছিলেন সেই স্বৈরাচারী সরকার।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা যদি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে আমরা যে ৩১ দফা দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন করবো। বেকার সমস্যা থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়নে সকল কাজ আমরা করব। শিক্ষকরা যে আন্দোলন করছে তাদের জাতীয়করণের ব্যবস্থা করার চেষ্টা আমরা করব।”
তিনি আরও বলেন, “এখন মাঠের সংবাদকর্মীরা যা তথ্য সংগ্রহ করে অফিসে পাঠায় তাই ছাপানো হয়। সেই স্বাধীনতা এখন গণমাধ্যমকর্মীরা পেয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের সময়ে সংবাদগুলো স্বাধীনভাবে প্রকাশ হতো না।”