পটুয়াখালী পৌরসভা ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে শহরের বেওয়ারিশ কুকুরদের জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শহরের ঝাউবন এলাকার ফোর লাইন সড়ক এলাজাকর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক জুয়েল রানা।
উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী পৌরসভার সচিব মাসুম বিল্লাহ, পৌর মেডিকেল অফিসার ডা. এস. এম. একরামুল নাহিদসহ পৌরসভার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এছাড়া ‘অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী’-এর পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি নওশিন আফরোজ হিয়া, রেস্কিউ অ্যান্ড রিলিজ উইং প্রধান আসাদুল্লাহ হাসান মুসা, বন্যপ্রাণী উদ্ধার কর্মী আবদুল কাইয়ুম, গলাচিপা টিম লিডার সোহেল হোসেন রাসেল, কলাপাড়া সহকারী টিম লিডার ইউসুফ রনি এবং দুমকী টিম লিডার সাইফ আহমেদ তনময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পৌর এলাকার নিউমার্কেট, পুরান বাজার, বাসস্ট্যান্ড, সদর রোড, ঝাউবন, লঞ্চঘাট, সবুজবাগ মোড়, তিতাস মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কুকুরদের টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
মাসব্যাপী চলা এই অভিযানে এক হাজারেরও বেশি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে পৌরসভা ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, টিকা দেওয়ার পর প্রতিটি কুকুরের শরীরে লাল রঙের চিহ্ন দেওয়া হচ্ছে, যাতে একই কুকুরকে পুনরায় টিকা না দেওয়া হয়। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বেওয়ারিশ ও পালিত উভয় প্রজাতির কুকুরকে জলাতঙ্কের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
পটুয়াখালী পৌর প্রশাসক মো. জুয়েল রানা বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এই টিকাদান কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ‘অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী’-এর সহযোগিতায় পৌর এলাকার সব বেওয়ারিশ কুকুরকে ধীরে ধীরে টিকার আওতায় আনা হবে, যাতে শহরজুড়ে নিরাপদ ও মানবিক পরিবেশ বজায় থাকে।
প্রাণীপ্রেমীদের মতে, এটি পটুয়াখালী শহরে প্রাণীকল্যাণের ইতিহাসে একটি ইতিবাচক ও সময়োপযোগী উদ্যোগ। সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদও জানান তারা।