সেনবাগের দক্ষিন শ্রীপদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮বছরের এর হিন্দু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মুছার (৫০)বিরুদ্ধে। মুছা শ্রীপদ্দী গ্রামের বেলায়েত চৌকিদার বাড়ির জালাল আহমেদের ছেলে। অভিযুক্ত মুছা একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক হওয়ায় এঘনায়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় ঘটনায় এলাকায় বিক্ষাভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই ন্যাক্কার জনক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নবীপুর ইউপির দক্ষিন শ্রীপদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এব্যপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ মুছার মুঠোফোনে কল দিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেননা বলে জানান। এরপর যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া কথা জানালে তিনি বলেন আমি অসুস্থ বিদ্যালয়ে যায়নি। কি? কারণে অভিযোগ দিয়েছেন তা তিনি জানেননা বলে মন্তব্য কলেন। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নাই। তবে, যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীর পরিবার দাবী শিক্ষক মুছা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়ির।
জানাগেছে,মঙ্গললবার বিদ্যালয়ের ছুটির কিছুক্ষন আগে যৌন হয়রানির শিকার ৩শ্রেনীর ছাত্রী রোল নং ১ পড়া শেষে কিছু লেখা বাকি থাকায় সেগুলো খাতায় লিখছিলেন। এসময় বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের ক্লাশ থেকে বের হয়ে যায। এ সুযোগে অভিযুক্ত মোঃ মুছা ওই ছাত্র গোপন অঙ্গ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করে। এসময় শিশু শিক্ষার্থী চিৎকার দেওযার চেষ্ঠা করলে শিক্ষার্থীকে ধমক চুপ করিয়ে দেন এবং বিয়য়টি কাউকে না বলার ধমকিয়ে দেয়। বিষয়টি শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের জানালে তারা বিষয়টি স্থানীয় জামায়াত সমর্থিত কয়েকজন গন্যমান ব্যাক্তি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেন।
এব্যাপারে বিষয়টি নিয়ে ফেনী ফাযিলপুর ফালাইয়া মাদরাসার শিক্ষক ও স্থানীয় শ্রীপদ্দী গ্রামের বাসিন্দা মাষ্টার ফজলুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে জানান, যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি তাকে জানালে তিনি বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার বাড়িতে বসে বিষয়টি জানান জন্য মোঃ মুছা , এলাকার আবদুল মান্নান, মেহেদী ও মামুন পাটোয়ার তার বাড়িতে আসে। এ সময় বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় মিজানের নেতৃত্বে এলাকার শতাধিক বিভিন্ন বয়সের মানুষ তার বাড়িতে উপস্থিত হয়। তাদের উপস্থিতির টের পেয়ে অভিযুক্ত মোঃ মুছা কৌশলে পালিয়ে যায় বলে তিনি স্বীকার করেন। এসময় মুছাকে না উপস্থিত লোকজন মুছার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। তিনি আরো জানান,অভিযুক্ত মুছার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যপারে যোগাযোগ করলে শ্রীপদ্দী সরকারি প্রাথিমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শেখ আহম্মদ জনকন্ঠকে জানান, ঘটনাদিন তিনি তার এক আত্বীয় মারা যাবার কারনে তিনি স্কুল ছুটির কিছুক্ষন আগে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যান। এরপর অভিযুক্ত মুছার ছাত্রীকে ক্লাশে একা পেয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করা হয় বলে পবিারের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে জানান। তিরি আরো জানান বিদ্যালয়টি রেজিষ্ট্রার্ড থাকা কালিন সময়ে মুছা বিরুদ্ধে নএক ছাত্রীকে যৌন হয়রারিন অভিযোগে বহিস্কার করা হয়েছিলো। এরপর বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ার পর দেড়ম টাকার স্টাম্প দিয়ে অঙ্গিকার করে মুছলেকা দেন তিনি অভিষ্যতে আর এধণের অপরাদ করবেনা। কিন্তু এ ঘটনার দেড়মাস ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকেও যৌন হয়রানি করে। পরবর্তীতে অভিভাবকদের বুঝিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। কিন্ত গত াএক সপতাহ যাবত ওই ছাত্র বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটকে আবারো সে একই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়।
এব্যপারে সেনবাগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার ফারভেজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ্ঘটনায় বিদ্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাকে বিকেলে মুঠোফোনে অবহিত করেছেন বলে স্বীকার করে জানান,তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নিশ্রিচত করেন।
এ ব্যপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এসএম মিজানুর রহমানের সরকারি মুঠোফোরে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।