শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পরিবারের চারজনসহ মোট ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জেলার নকলা উপজেলার কিংকরপাড়ার শাহজাহান আলীর একমাত্র ছেলে ও মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী মিম। দুর্ঘটনায় নিহত নকলা উপজেলার দুই পরিবারের চারজনসহ মোট ৬ জন। তারা হলেন- শাহজাহানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান বাবু (২৩) ও মেয়ে মাইসা তাসনিম মিম (২১), একই উপজেলার আলিনাপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান (৭৮) ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৭০), সদর উপজেলার কামারিয়া গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে অটোরিকশাচালক লোকমান হোসেন (৩৮)। আগামী ২ জানুয়ারি ছোট বোন মিমের সম্মান ২য় বর্ষের পরীক্ষা। মিমকে সাথে নিয়ে প্রবেশপত্র নিয়ে বড় ভাই কামরুজ্জামান বাবু সকালে বাড়ি থেকে বের হন। সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে যাওয়ার পথে শেরপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাতশালার জোড়া পাম্পে পৌঁছালে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী রিফাত পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে দুমড়ে মুচড়ে যায় অটোরিকশাটি। আর ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় বাবু ও মিমসহ পাঁচজন। গুরুতর আরও একজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একমাত্র ছেলে ও মেয়েকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তাদের বাবা ও মা। স্বজনেরা বাস চালকের শাস্তির দাবিও জানান। বাবুর মা অরুনা বেগম তার ছেলে বাবু ও মেয়ে মিমকে ফেরত চান। নইলে তার সন্তানের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের শাস্ত চান। নানা আবুল কাশেম হাজী বলেন, আমার তিনটা নাতি ছিলো। এরমধ্যে দুইজনই মারা গেলো। এখন আমার মেয়ে জামাই কিভাবে বাঁচবো। আমি খুনি ড্রাইভারের শাস্তি চাই। এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবায়দুল আলম বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত বাস চালককে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।