বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ঁও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ১৪টি কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ৭ শ, ৫৭ জন। এরমধ্যে মোট পাস করেছে ২ হাজার, ৩শ ৩২ জন। পাসের হার৪৮,০১%। কলেজ সমূহে মোট জিপিএ পেয়েছে ১শ ৯জন। সর্বোচ্চ জিপিএ হাটহাজারী সরকারি কলেজ। মোট জিপিএ ৭১ জন। কলেজের সাধারণ শাখায় পাশের হার সর্বোচ্চ ৮২,৩৪%। আর বেশি ভোকেশনাল শাখায় পাশের হার ৮২,১৯%বিএমটি তাছাড়া উপজেলার আওতাধীন ১০টি মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৩শ ৫৭ জন, পাশ করেছে ৩শ ৩৩জন। পাশের হার ৯৩,২৮%। হাটহাজারী জামেয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও নাঙ্গলমোড়া সামশুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা ৩ জন করে জিপিএ পেয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন
সূত্র জানায়, উপজেলার ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ হাজার ৭শ ৫৭জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ৩শ ৩২জন এবং ফেল করেছে ২ হাজার ৪শ ২৫জন। ১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একজনও জিপিএ-৫ পায়নি ৭টি প্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে, ৬টি প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ১ জন এবং অনূর্দ্ধে ৭১ জন পর্যন্ত জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে শহরের বাইরে মফস্বলে সাফল্য দেখিয়েছে হাটহাজারী সরকারি কলেজ। চলতি বছর উক্ত কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ১ হাজার ২শ ৬জন, পাস করেছে ৯শ ৮১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১জন, পাসের হার শতকরা ৮১.৩৪ ভাগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ২শ ৬১জন, পাস করেছে ২শ ৫জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭জন, পাসের হার শতকরা ৭৮.২৫ ভাগ। উপজেলার একমাত্র কাটিরহাট মহিলা কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৪শ ১১জন, পাস করেছে ১শ ৯৫জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৭জন, পাসের হার শতকরা ৪৮.০৫ ভাগ।
নাজিরহাট কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ১ হাজার ১শ ২৭জন, পাস করেছে ৩শ ৮৫জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮জন, পাসের হার শতকরা ৩৪.১৬ ভাগ। কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি কর্পোরেশন ডিগ্রী কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৯শ ২০জন, পাস করেছে ২শ ৯০জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন, পাসের হার শতকরা ৩১.৮৭ ভাগ। কেসি শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ১শ ৬০জন, পাস করেছে ৫৯জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন, পাসের হার শতকরা ৩৭ ভাগ ও ফতেয়াবাদ সিটি কর্পোরেশন ডিগ্রী কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৪শ ৩৭জন, পাস করেছে ১শ ৪৫জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন, পাসের হার শতকরা ৩৫.১৮ ভাগ।
তাছাড়া পৌর এলাকার হাটহাজারী গালস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৯৯জন, পাস করেছে ৩১জন, পাসের হার শতকরা ৩১.৩১ ভাগ। ফতেয়াবাদ সিটি কর্পোরেশন বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ১৭জন, পাস করেছে ৩জন, পাসের হার শতকরা ১৭.৬৫ ভাগ। জোবরা পিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ২০জন, পাস করেছে ৭জন, পাসের হার শতকরা ৩৫ ভাগ। আলীপুর রহমানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৩৯জন, পাস করেছে শুধুমাত্র ৫জন, পাসের হার শতকরা ১২.৮২ ভাগ। আকবরীয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৩৯জন, পাস করেছে ১৮জন, পাসের হার শতকরা ৪৬.১৫ ভাগ। ঈদগাহ বহুমূখী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ১০জন, পাস করেছে ৫জন, পাসের হার শতকরা ৫০ ভাগ এবং রহিমপুর অ্যাইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ১১জন, পাস করেছে ৩জন, পাসের হার শতকরা ২৭.২৭ ভাগ।
উপজেলার আওতাধীন ১০টি মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩শ ৫৭ জন, পাশ করেছে ৩শ ৩৩ জন। পাশের হার ৯৩,২৮%। এসব মাদ্রাসায় জিপিএ পেয়েছে মোট ৯ জন। নাঙ্গলমোড়া মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭৮ জন পাশ ও করেছে ৭৮ জন। পাশের হার শতভাগ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এক জন জিপিএ পেয়েছে। ছিপাতলী মাদ্রাসার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩১ জন, পাশ করেছে ৩০ জন। পাশের হার ৯৮%। কাটিরহাট মফিদুল ইসলাম ফাজিল মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩২ জন, পাশ করেছে ৩১ জন পাশের হার ৯৬,৮৮%. মির্জাপুর জয়নুল উলুম আলিম মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ জন, পাশ করেছে ১৬ জন পাশের হার ৯৪,১১%। ১০ টি মাদ্রাসার মধ্যে ৬ টি মাদ্রাসায় কেউ জিপিএ পায়নি।