জুলাই সনদ জাতীয় দলিল হিসেবে তৈরি হয়েছে: আলী রীয়াজ

এফএনএস অনলাইন:
| আপডেট: ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম | প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
জুলাই সনদ জাতীয় দলিল হিসেবে তৈরি হয়েছে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ শুক্রবার বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, “জুলাই সনদ জাতীয় দলিল হিসেবে তৈরি হয়েছে। তার বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে ঘটবে। নাগরিকদের মতামতের মধ্য দিয়ে এই দিকনির্দেশনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ভবিষ্যতে পরিচালনা করবে।”

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “আমাদের যে স্বপ্ন, বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, তাকে ধারণ করে, তাকে অগ্রসর করে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবার একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা, তাতে একটি দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্যই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় এক বছর ধরে পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে এই জাতীয় সনদে উপনীত হয়েছেন।”

‘জাতীয় সনদ কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি নয়। এটি হচ্ছে নাগরিকের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং রাষ্ট্রের একটি সামাজিক চুক্তি। এই সামাজিক চুক্তির প্রত্যাশা প্রত্যেকটি বিষয়ের মধ্যে জড়িত আছে। বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামের তাদের কষ্টের তাদের প্রচেষ্টার প্রত্যেকটি বিন্দু যুক্ত আছে। গত বছরের জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা প্রাণ দিয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, যারা আজকে আহত আছেন, যে জুলাই যোদ্ধারা আজকেও সামগ্রিকভাবে কষ্টকর জীবন যাপন করছেন, তাদের প্রত্যেকের অবদানের মধ্য দিয়ে এই সনদ তৈরি হয়েছে। কেননা জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান দীর্ঘদিনের রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যে আকাঙ্ক্ষা তার প্রতিফলন’-উল্লেখ করেন তিনি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, “বাংলাদেশে গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন তৈরি হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে যে সাহসিকতা, যে দৃঢ়তা বাংলাদেশের নাগরিকরা দেখিয়েছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সূচনা এক দফা দাবিতে পরিণত হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদী শাসককে পলায়নে বাধ্য করতে পেরেছে। সেই অর্জনের একটি স্মারক হচ্ছে এই জাতীয় সনদ। এখানে এর শেষ নয়। আমরা মনে করি, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমাদের যে চেষ্টা, সবার যে চেষ্টা, সেই চেষ্টা একদিনে সাফল্য অর্জন করবে না। একটি দলিল কেবলমাত্র সেটা নিশ্চয়তা দেবে না। যে জাতীয় দলিল তৈরি হয়েছে, তার বাস্তবায়ন ঘটবে। দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন ঘটবে। নাগরিকদের মতামতের মধ্য দিয়ে এই দিক নির্দেশনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ভবিষ্যতে পরিচালনা করবে।”

‘আমাদের মতের পার্থক্য থাকবে, রাজনীতিতে মতপার্থক্য না থাকলে তা গণতান্ত্রিক হয় না। মতের পার্থক্য থাকবে। পথের পার্থক্য থাকবে কিন্তু একজায়গায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যেকোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই দাঁড়িয়ে থাকব। সেই স্বপ্ন সেই প্রত্যাশা, সেই চেষ্টার স্মারক যতটুকু আমরা অর্জন করেছি, এটি প্রথম পদক্ষেপ’-যোগ করেন তিনি।

সনদের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন যারা, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, “এই অগ্রসরে নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের মানুষদের প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সেই মত পার্থক্য সত্ত্বেও তারা এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে