জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের দাবি। কালো টাকা, সন্ত্রাস, ব্যালট বাক্স ছিনতাই প্রতিরোধ ও সবার ভোটের মূল্যায়নের জন্য পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই। আপনারা লক্ষ্য করেছেন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকরা নিয়মিত জামায়াতের আমীরের সাথে সাক্ষাৎ করছেন। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে আমরা রাজা হবো না, আমরা দেশের নাগরিকদের সেবক হয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তুলবো। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে পারলে বিশ্বের মধ্যে দেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তখন আর এদেশ থেকে বিশ্বের কোথাও গিয়ে ভিক্ষা করতে হবে না।
তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে জুলাই সনদ ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচদফা দাবিতে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ও নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাকিম। উপজেলা সেক্রেটারী আবু বকর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর ড. মীর নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলী ও অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান, জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, নাটোর-১ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও নাটোর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান, জেলা জামায়ােেতর সহকারী সেক্রেটারী আতিকুল ইসলাম রাসেল, গুরুদাসপুর উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল আলিম, জেলা শুরা সদস্য আব্দুল খালেক, জেলা মসজিদ মিশন একাডেমীর সভাপতি মাওলানা আবুল হোসাইন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা হাসানুল বান্না উজ্জল ও জিয়াউর রহমান জুয়েল এবং বনপাড়া শহর জামায়াতের আমীর মীর মহিউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ দাঁড়িপাল্লায় নীরবে ভোট দিয়ে নীরব বিপ্লব ঘটাবে ইনশাল্লাহ। বিগত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় সেটা প্রমাণ করেছে। আগামী সংসদ নির্বাচন হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে। আমরা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চাই। তবে তার আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।