দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সরিষার মাঠে মাঠজুড়ে হলুদ সরিষার ফুল। সকালের সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সরিষা ফুলে সমারোহ হেসে ওঠে চারিদিক। মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ-মাছিরা। পড়ন্ত বিকেলে মিষ্টি রোদে সরিষার ফুলগুলো বাতাসে দোল খেতে থাকে। ফুলগুলোর তাদের কলি ভেদ করে সুভাষ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে। এ যেন প্রকৃতির অপর সৌন্দর্যের লীলাভূমি। গতকাল সোমবার কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার জমিতে গিয়ে দেখা যায় ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মাঠে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ শিশুসহ বিনোদন প্রেমিকেরা। সরিষা মাঠ জুড়ে ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা। কেউবা আবার মোবাইলে সেলফি ও ভিডিও ধারণ করছেন। কৃষকেরা জানান, কাহারোল উপজেলায় ব্যাপক সরিষার আবাদ হতো।সয়াবিনের উপর নির্ভরতা বাড়ায় বর্তমানে অনেকটাই কমে গেছে সরিষার আবাদ। তবুও ধান চাষের পাশাপাশি নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরিষা চাষ হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯শত হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। ভালো সরিষা উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছেন। কৃষক ফজলু বলেন, সরিষা চাষে যে সার আমরা ব্যবহার করে থাকি সরিষা তোলার পর সেই সার বোরো ধানের আবাদ করলে সার কম লাগে। অপর কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, সরিষা আবাদ করলে পরবর্তীতে বোরো ধানের সারের পরিমাণ কম দিতে হয়। এবার মেঘ বৃষ্টি না হলে আমরা সরিষায় লাভবান হওয়ার সম্ববনা রয়েছে। কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ স্থানীয় জাতসহ উন্নত জাতের সরিষার চাষ হয়েছে। চলতি বছর ১ হাজার ৭শত জন কৃষককে সরিষা চাষের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, সরিষার ফলন বৃদ্ধিতে মৌ-মাছি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।