খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনির কাশিমনগর এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে স্কুল ছাত্রীকে মোটরসাইকেল যোগে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও একজনকে অজ্ঞাত পরিচয় দেখিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন ঘটনার শিকার স্কুলছাত্রীর মা রুপালি দাস। যার নং-১১।
ঘটনার দিন রাতেই ধর্ষিতাকে থানা হেফাজতে ও পরের দিন ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে। থানা পুলিশ ও মামলার বিবরনে জানানো হয়, বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর এলাকার নজরুল গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২২), নীল কোমল সরকারের ছেলে সাগর সরকার (২২) সহ ৪ জন দাসপাড়ার বাসিন্দা কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর জনৈকা ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী রামনগর মোড়লপাড়া সংলগ্ন রাস্তার উপর থেকে মুখ চেপে জোরপূর্বক মোটর সাইকেল যোগে উঠিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলার শালতা নদীর তীরবর্তী রায়পুরস্থ নাথেরকুড় এলাকার একটি চিংড়ি ঘেরের পরিত্যক্ত বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
মামলায় বলা হয়, প্রথমে সাগরের সহযোগীতায় নাজমুল ও পরে নাজমুলের সহযোগীতায় সাগর পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তার গোঙানির শব্দে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে গেলে ধর্ষকসহ সহযোগীরা মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কিশোরীর বাড়িতে খবর দিলে তার স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ তার বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে রাতেই থানায় নেয়। পরের দিন ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ ঐ রাতেই সহযোগী রিয়াজ নামে একজনকে আটক করে পরের দিন আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরন করেছে। এব্যাপারে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মামলার আইও আজগর হোসেন বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।