মা ইলিশ প্রজননের নিষিদ্ধ সময়ে পিরোজপুরের কাউখালীর পাঁচটি নদীতে থামছে না মা ইলিশ নিধন। বিভিন্ন দপ্তরের কর্তৃপক্ষের দায়সারা অভিযানের ফলে মা ইলিশ নিধন বন্ধ হচ্ছেনা। উপজেলার সন্ধা, কঁচা, কালীগঙ্গা, চিরাপাড়া, গাবখান সহ বিভিন্ন নদীর শাখা-প্রশাখায় জেলেরা নিষিদ্ধ সময় অবৈধভাবে জাল ফেলে নির্বিচারে মা ইলিশ মাছ নিধন করছে। ৪অক্টোবর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে ৫ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এরপরেও উপজেলার চিরাপাড়া, বেকুটিয়া, মেঘপাল, বাদামতলা, সুবিদপুর, ব্রাক্ষ্মনচিত্মা, গোপালপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ধা কিংবা অতি ভোরে অবৈধভাবে ধরা মাছ গোপনে ফোনের মাধ্যমে সহজেই বিক্রি করছে এক শ্রেনীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে নদীতে ঘুরে খোঁজ খবর নিলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, নদীতে তেমন কোন কঠোর অভিযান না থাকার সুযোগে নিয়মিত পানির নিচে জাল ডুবিয়ে মাছ ধরছেন জেলেরা। এ যেন জেলেদের সাথে প্রশাসনের চোর পুলিশ খেলার মতো। জেলেদের লোক সব সময় পাহারায় থাকে প্রশাসন লোকজন দেখলেই জাল ডুবিয়ে দিয়ে তারা ছোট নৌকা নিয়ে শটকে পড়ে।
এই সময় নদীতে অনেক মাছ থাকায় এবং মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে মাছ বিক্রি করতে পারায় অবৈধ ভাবে জেলেরা মাছ ধরতে আরও উৎসাহিত হয় বলে দাবি করেন ওই জেলেরা।
এ ব্যাপারে মৎস কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, মৎস অফিসে জনবল সংকট রয়েছে, জেলা মৎস কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মিটার জাল ধ্বংস করেছি।
এসময় তিনি আরো জানান, নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশ, জেলা মৎস অফিস, জেলা প্রশাসন সবাই আলাদা আলাদাভাবে অভিযান করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা জানান, মৎস কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে উপাজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে।